গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এ রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গেল কোভিড রোগীর সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৯৩। সেই সঙ্গে বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। এই দুই পরিসংখ্যান আশঙ্কা জাগালেও খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে এক দিনে সংক্রমণের হার। ৩ জুলাইয়ের পর গত ২৪ ঘণ্টাতেই ওই হার সবচেয়ে কম হল।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করছিল ৩ হাজারের ঘরে। সেই ধারা অব্যাহত ছিল এ দিনও। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমিতের মোট সংখ্যা ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৯৩। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৬১ জন। ওই সময়কালে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জন কোভিড রোগীর। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে মৃতের সংখ্যা ফের বাড়ল এ রাজ্যে। শুক্রবার সংখ্যাটা ছিল ৫৭।
এ দিন করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যানের নিরিখে গোটা রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৬ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। এ শহরে এক দিনে ১২ জন মারা গিয়েছেন। কলকাতা ছাড়াও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে ১ জন করে, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদে ২ জন করে, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭ জন, হাওড়া ও হুগলিতে ৪ জন করে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৭ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের টিকা কি হার মানবে লেকটাউনের সুমির উদ্ভাবনের কাছে?
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা চিন্তাজনক হলেও আশা জোগাচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৪২ জন সংক্রমিত। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫। বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৩ হাজার ৫২১ জন। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, সুস্থতার হারও বেড়েছে। এ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৮৬.২৬ শতাংশে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: বাঁদরের শরীরে কাজ করছে ‘কোভ্যাক্সিন’, জানাল ভারত বায়োটেক
সুস্থতার হারের পাশাপাশি সংক্রমণের নিম্নগতিও স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী তা ৬.৬২ শতাংশ। গত ৩ জুলাইয়ের পর এ দিনই ছিল এই হার সবচেয়ে কম। ৩ জুলাই সংক্রমণের হার ছিল ৬.০৫ শতাংশ। প্রতি দিন যত জনের কোভিড টেস্ট করানো হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত সংখ্যকের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমমের নিরিখে কলকাতায় বরাবরই শীর্ষে রয়েছে। তবে এ দিনের বুলেটিনে দেখা গিয়েছে কলকাতাকে সরিয়ে সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে এক নম্বরে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫৫৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। কলকাতায় একই সময়ের মধ্যে ৫৪৭ জনের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর মিলেছে। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় হুগলিতে ১৮২, হাওড়ায় ১৭৩, পূর্ব বর্ধমানে ৬১, পশ্চিম বর্ধমানে ১৪২, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪৫, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৩৭, বাঁকুড়ায় ৯২, নদিয়ায় ১০৫, মুর্শিদাবাদে ৯৪, কোচবিহারে ৮৯, আলিপুরদুয়ারে ৪৬, জলপাইগুড়িতে ৮৪ এবং দার্জিলিঙে ৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy