গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে শারদোৎসবের পর ভয়াল আকার নিতে পারে সংক্রমণ। এমন আশঙ্কা ঘোরাফেরা করছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু বাস্তবে উলটপুরাণ। পর পর দু’দিন নতুন রেকর্ড গড়ল রাজ্যে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা। বুধবারের থেকে বৃহস্পতিবার আরও কমল সংক্রমণের হারের গ্রাফ। গত কালের থেকে কমল মৃতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক আক্রান্তের থেকে উপরে রয়েছে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা। সব মিলিয়ে এ দিন রাজ্যের করোনা চিত্র আরও আশাপ্রদ হয়ে উঠল।
গত কাল রাজ্যে মোট ৪ হাজার ১২৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যা ছিল রেকর্ড। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ৪ হাজার ১৮৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন, যা নতুন রেকর্ড। অক্টোবর মাসের শেষ থেকে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। সুস্থের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই সুস্থতার হারও গত কালের তুলনায় বেড়ে হয়েছে ৮৯.০৫ শতাংশ। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ বলেই জানাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
প্রতি দিন যত কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। সুস্থের সংখ্যা বাড়ার ফলে সংক্রমণের গ্রাফও নীচে নামতে শুরু করেছে। এ দিন সংক্রমণের হার ৮.৬৮ শতাংশ। সংক্রমণের হার কমায় রাজ্য প্রশাসনের দুশ্চিন্তা কিছুটা কমল। এর মধ্যেই রাজ্যে আগামী বুধবার থেকে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। ফলে এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম পরাতে তবে সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ মেনে চলার দিকেই আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৬৭টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৯৪৮ জনের।
প্রতি দিন যত কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। সুস্থের সংখ্যা বাড়ার ফলে সংক্রমণের গ্রাফও নীচে নামতে শুরু করেছে। এ দিন সংক্রমণের হার ৮.৬৮ শতাংশ। সংক্রমণের হার কমায় রাজ্য প্রশাসনের দুশ্চিন্তা কিছুটা কমল। এর মধ্যেই রাজ্যে আগামী বুধবার থেকে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন। ফলে এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম পরাতে তবে সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ মেনে চলার দিকেই আরও বেশি করে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৬৭টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৯৪৮ জনের।
(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
আরও পড়ুন: শাহী বৈঠকে শোভন-বৈশাখী, রাতে সাক্ষাৎ শহরের হোটেলে
আরও পড়ুন: টাকে চুল গজালেও রাজ্যে বিজেপি নয়, অমিতকে আক্রমণে চড়া সুর কল্যাণের
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫২৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৪৯ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী গত কালকের থেকে কম। তার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৯৫৩ জন।
রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ হাজার ১২২ জনের। এর মধ্যে বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে ১৫ জন কলকাতার। ১৪ জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এ ছাড়াও হাওড়াতে ৭ জন এবং হুগলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৩ জন মারা গিয়েছেন নদিয়াতেও।
রাজ্যে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ হাজার ১২২ জনের। এর মধ্যে বুধবার প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে ১৫ জন কলকাতার। ১৪ জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এ ছাড়াও হাওড়াতে ৭ জন এবং হুগলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৩ জন মারা গিয়েছেন নদিয়াতেও।
রাজ্যের করোনা গ্রাফে প্রথম থেকেই শীর্ষে ঘোরাফেরা করছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা— এই ২ জেলা। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের শীর্ষ রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৫৫ জন। এ দিন নতুন করে ৮৩৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। দুশোর বেশি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪ জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৭০), হাওড়া (২৭০), হুগলি (২২২) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর (২১৮)। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ শতাধিক নদিয়া (১৯২), দার্জিলিং (১৩৬), পশ্চিম বর্ধমান (১১০) এবং জলপাইগুড়ি (১০২)-তে।
রাজ্যের করোনা গ্রাফে প্রথম থেকেই শীর্ষে ঘোরাফেরা করছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা— এই ২ জেলা। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের শীর্ষ রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৫৫ জন। এ দিন নতুন করে ৮৩৬ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। দুশোর বেশি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৪ জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৭০), হাওড়া (২৭০), হুগলি (২২২) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর (২১৮)। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ শতাধিক নদিয়া (১৯২), দার্জিলিং (১৩৬), পশ্চিম বর্ধমান (১১০) এবং জলপাইগুড়ি (১০২)-তে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy