Advertisement
E-Paper

বিয়েবাড়ি যোগে গৃহ পর্যবেক্ষণে ১৯

বিয়েবাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯ জন গিয়েছেন। এরমধ্যে একাধিক চিকিৎসক, নার্সও রয়েছে। অর্থাৎ, শহরের ওই ১৯ জন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০১:০৮
Share
Save

করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় যে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, সেখানে গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক ব্লকের বিপিএইচএন (ব্লক পাবলিক হেলথ নার্স)। খবরে শোরগোল পড়েছে ওই ব্লকে, জেলার প্রশাসনিক মহলেও। কারণ, তারপর ওই বিপিএইচএন বৈঠক করেছেন বিডিও-সহ ব্লকের অনেকের সঙ্গে। পরিস্থিতি দেখে ওই বিপিএইচএন-কে সপরিবার গৃহ পর্যবেক্ষণে (হোম কোয়রান্টিন) থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলার সীমানায় থাকা সংশ্লিষ্ট ব্লক থেকে শুক্রবারই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৮০০টি মাস্ক চাওয়া হয়েছে। ওই মাস্ক ব্লকের কর্মীদের, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, আপাতত ওই ব্লককে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১৫০-২০০টি মাস্ক দেওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, শুধু ওই বিপিএইচএন নয়, ওই বিয়েবাড়ি যোগ থাকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯ জনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ১৯ জনই ওই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে মেদিনীপুরের ৫জন, খড়্গপুরের একজন আছেন।

রাজ্যের দশম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ওই বৃদ্ধ কলকাতার বাসিন্দা। গত ১২ থেকে ২২ মার্চ তিনি এগরায় ছিলেন। বিয়ে ছিল ১৩ মার্চ, বৌভাত ১৫ মার্চ। পরে পরে জানা গিয়েছে, ওই বিয়েবাড়িতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৯ জন গিয়েছেন। এরমধ্যে একাধিক চিকিৎসক, নার্সও রয়েছে। অর্থাৎ, শহরের ওই ১৯ জন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের নাম- ঠিকানা সবিস্তার জেনেছে স্বাস্থ্য দফতরের দল। আপাতত কারওরই করোনার উপসর্গ নেই। ফলে, শুক্রবার এঁদের কারও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সংশ্লিষ্ট সকলকেই গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এগরার ওই বিয়েবাড়ি যোগ থাকায় কি একটি ব্লকের বিপিএইচএন-সহ জেলার ১৯ জনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে? সদুত্তর এড়িয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘এই জেলার কয়েকজন এগরার ওই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, অন্তত দু’সপ্তাহ এঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতেই হবে। এঁদের পরিবারের লোকেদেরও এখন বাড়ির বাইরে না বেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ১৯ জনের উপরে স্বাস্থ্য দফতরের দল নিয়মিত নজরও রাখবে। যে ব্লকে হুলুস্থূল পড়ে গিয়েছিল, সেখানে কর্মীদের বোঝানো হয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। কারণ, ওই বিপিএইচএন করোনা আক্রান্তের সরাসরি সংস্পর্শে আসেননি। তিনি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন মাত্র। এ ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপও করাও হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা শুক্রবার বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। এখনও জেলার কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি।’’

Covid-19 Coronavirus Egra Marriage Ceremony

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।