কেন্দ্রের কোভিড গবেষণার শরিক হল এসএসকেএম হাসপাতালও।
কোভিড চিকিৎসায় দিকনির্দেশ নির্ধারণে রাজ্যের অগ্রণী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে এসএসকেএম’কে স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। দেশ জুড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের তথ্যভান্ডার তৈরি করার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি অব কোভিড’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা। সেই প্রকল্প রূপায়ণের ‘মেন্টর’ হিসেবে সারা দেশের মধ্যে মাত্র ১৫টি মেডিক্যাল কলেজকে বেছে নিয়েছে আইসিএমআর। এ রাজ্যে প্রকল্পের ‘মেন্টর’ মেডিক্যাল কলেজ হল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমইআর) বা এসএসকেএম।
এসএসকেএম সূত্রের খবর, উপসর্গের মাত্রা, বয়স, অন্য ধরনের অসুখের নিরিখে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে কী ধরনের তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা এক জায়গায় নথিবদ্ধ করার প্রকল্পের নাম হল ‘ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল রেজিস্ট্রি অব কোভিড’। বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে বিভিন্ন রাজ্যের মানুষের জীবনযাপন, খাওয়ার অভ্যাস, সুঅভ্যাস মেনে চলার প্রবণতা ভিন্ন। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের আচরণ কেমন তা চিকিৎসা বিজ্ঞান মেনে নথিভুক্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা। জাতীয় প্রকল্পে দিল্লির এইমস, পিজিআই চণ্ডীগড় যেমন রয়েছে তেমন পণ্ডিচেরীর জওহরলাল ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চেরও (জিপমার) নাম রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে এসএসকেএম ছাড়া রয়েছে ভুবনেশ্বর এমস, গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গাঁধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেইগ্রিমস)।
এসএসকেএমে প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হলেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান সৌমিত্র ঘোষ। তিনি জানান, রাজ্যের প্রকারভেদে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের শারীরিক অবস্থায় কোনও তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে কি না, তা দেখতে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প। রাজ্যের করোনা বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম সদস্য জানান, কোভিডে কী ধরনের চিকিৎসা কী ফল দিচ্ছে, কোন ওষুধে কাজ হচ্ছে, কত দিনের মাথায় সেই সকল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল, সংক্রমণের শুরুতে ওষুধ প্রয়োগ করে কী লাভ হয়েছে, আক্রান্ত হওয়ার দশ দিনের মাথায় ওষুধে কী ফল মিলেছে— এ সবই প্রকল্পের বিচার্য বস্তু।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, কো-মর্বিডিটির কারণে বিপদের সম্ভাবনা বৃদ্ধির কথা সকলেই বলছেন। কিন্তু কো-মর্বিডিটির মধ্যে কোন অসুখে করোনার আচরণ কেমন তা-ও দেখা হবে। সৌমিত্রবাবুর কথায়, ‘‘ডায়াবিটিস, রিউম্যাটোলজি, উচ্চ রক্তচাপ-সহ বিভিন্ন অসুখের পৃথক রেজিস্ট্রি হচ্ছে। করোনা এক দিনে চলে যাবে না। তাই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে মানবদেহে করোনার উপস্থিতিতে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করলে একটা রূপরেখা তৈরি করা যাবে। সেটাই হল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।’’
এসএসকেএমের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই তথ্যভান্ডার তৈরি করার জন্য করোনা চিকিৎসায় রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজ, কোভিড চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণও নেওয়া হবে। এ ধরনের একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এসএসকেএম-এর পক্ষেও গর্বের বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy