সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা ছাড়া স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই—নিজস্ব চিত্র
দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার রাতে কর্নাটকে করোনা-আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু এবং বৃহস্পতিবার তার করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হতেই দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রেই তার প্রভাব পড়েছে। বহু রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। বাদ যায়নি রাজ্যও। শুক্রবারই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা ছাড়া স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি করোনা নিয়ে স্কুলে স্কুলে প্রচারের কথা বলে বুধবারই একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর।
করোনার আতঙ্কে পরীক্ষা ছাড়া পঠনপাঠন ও অন্যান্য কর্মসূচি বাতিল করল সাউথ পয়েন্ট স্কুল। শুক্রবার স্কুলের তরফে অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর দরকার নেই। রিপোর্ট কার্ড নেওয়া-সহ যে কারণে তাদের স্কুলে আসার দরকার ছিল, সেই সব কিছুই বাতিল করা হয়েছে। আবার পরীক্ষার জন্য যাঁরা স্কুলে আসবে, তাদেরও কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তাও জানিয়ে দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক বিভাগে করোনা নিয়ে একটি কর্মশালা হয়েছে। হাইস্কুলেও একই রকম কর্মশালা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে করোনার সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রাথমিক শিক্ষা দফতর থেকে একটি নির্দেশিকা স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, প্রতিটি প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে দু’টি করে করোনা সংক্রান্ত সচেতনতার পোস্টার টাঙাতে হবে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর থেকে সেই পোস্টার দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইডি-তে ভর্তি ইটালীয় দম্পতি
করোনা নিয়ে স্কুলে স্কুলে প্রচারের কথা বলে বুধবারই একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতর—নিজস্ব চিত্র
এ রাজ্যে এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর নেই বলে দাবি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মেনেই, এক দিকে সচেতনতা প্রচার, অন্য দিকে জেলার হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি সীমান্ত থেকে বিমানবন্দর— যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষাও চলছে। জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ ধরা পড়লে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর।
আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহ হলেই আইডি-তে যান, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
পরিস্থিতি বুঝে কাউকে হাসপাতালে, আবার কাউকে ‘হোম আইসোলেশন’-এ রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৭২১ জন যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তা ছাড়া নেপাল ও বাংলাদেশের সাতটি বন্দরে স্বাস্থ্য শিবির খুলে মোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৫৩ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। তিনটি জলবন্দরেরও নজরদারি চলছে। এ পর্যন্ত জাহাজ ফেরত ৩ হাজার ৭৬৮ জনের পরীক্ষা হয়েছে।
জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ ধরা পড়লে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর
বিদেশ ফেরত ২ হাজার ৬৮ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৮ জন বিপম্মুক্ত। এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬৫ জন ‘হোম আইসোলেশন’-এ রয়েছেন। ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে। কলকাতা থেকে সব জেলায় সরকারি হাসাপতালে মোট ১৬৩টি আইসোলেশন বেড তৈরি রাখা হয়েছে। রাজ্যের তরফে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে (০৩৩-২৩৪১২৬০০, ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২)। ওই নম্বরে ফোন করলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy