মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মুম্বইয়ের বান্দ্রা অঞ্চলে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করল মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। কপর্দকশূন্য হয়ে পড়া ওই শ্রমিকদের লকডাউন চলা পর্যন্ত মুম্বইয়ে থাকা এবং তিন বেলা খাদ্যের সংস্থান আজ করা হয়েছে। মমতার অনুরোধের পরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর পুত্র আদিত্য ঠাকরেকে নির্দেশ দেন, ওই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে। আদিত্য চলে যান বান্দ্রার ভারতনগর এলাকায়, যেখানে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকেরা আটকে রয়েছেন। তিনি তাঁদের বলেন, আপাতত যে অস্থায়ী আস্তানাটিতে তাঁরা রয়েছেন, সেখানেই থেকে যেতে। চিন্তার কারণ নেই। তিন বেলা খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হবে। উদ্ধবের আশ্বাসের পরে আজ বিকেলের মধ্যেই তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, আনাজ পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর।
গত কালই ওই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছয়। ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা আবেদন করছেন, রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। লকডাউনের ফলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের হাতে অর্থ নেই, খাবার কেনার উপায় নেই। প্রায় ৭০০ শ্রমিক এ ভাবে আটকে রয়েছেন বলে জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী এর পরেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সুরাহা করতে। সেই মতো মহারাষ্ট্র সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তার পরে আজ সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লেখেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানে তিনি অনুরোধ করেন, ওই রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া, বাংলার বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে থাকার জন্য। ওই একই বয়ানে তিনি চিঠি পাঠান আরও ১৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। চিঠির পাশাপাশি দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকেও মমতা নির্দেশ দেন, রাজনৈতিক স্তরে শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। এর দু’ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্র সরকার।
লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরে বহু রাজ্য থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক, গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যে তাঁরা ফেরার পথে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy