প্রতীকী ছবি।
খরচ অল্প নমুনা পরীক্ষায় সময়ও লাগবে কম। এই মন্ত্রে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় নোভেল করোনাভাইরাস নির্ণয়ের প্রযুক্তিকে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এক বঙ্গসন্তান। আরটি-পিসিআরে করোনা পরীক্ষা করার জন্য যে কিটের প্রয়োজন হয়, তা তৈরির জন্য আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ) এবং সিডিএসসিও’র (সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন) অনুমোদন পেয়েছে বাঙালি ব্যবসায়ীর বায়োটেক সংস্থা। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়ার ভাইরাস চিহ্নিতকরণে জেলাস্তরে ল্যাবরেটরি নির্মাণ করতে চান সংস্থার কর্ণধার রাজা মজুমদার।
জন্মসূত্রে ত্রিপুরায় বেড়ে ওঠা। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরে বেঙ্গালুরুতে বি.ফার্ম ও আমদাবাদ থেকে মেডিসিনাল কেমিস্ট্রিতে এম.ফার্ম করেন বাঙালি ব্যবসায়ী। পদস্থ চাকরি ছেড়ে ২০১০ সালে সল্টলেকের বায়োটেক পার্কে স্টার্ট-আপ হিসাবে ব্যবসায় হাতেখড়ি। চার বছর পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকরাহাটে সংস্থার ঠিকানা বদল হয়।
করোনার নমুনা সংগ্রহের পরে তা থেকে ‘আরএনএ’ বার করতে হয়। গত দশ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ‘আরএনএ এক্সট্রাকশন কিট’এর পাশাপাশি আরটি-পিসিআরে নমুনা পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত অন্য উপাদান তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাজা জানান, কিটের জোগানে ঘাটতি থাকায় নমুনা পরীক্ষার কাজ ব্যাহত হচ্ছে জানার পরে তাঁরা কম খরচে করোনা-কিট তৈরির কাজ শুরু করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকরাহাটের কার্যালয়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সেই কিট অনুমোদনের জন্য আইসিএমআরের কাছে পাঠানো হয়। আইসিএমআর-নাইসেড সেই টাকম্যান-বেসড কিট গত মে মাসে ভ্যালিডেট করলে সিডিএসসিও’র অনুমোদনের জন্য আবেদন করে সংস্থাটি। মঙ্গলবার সংস্থাকে কিট তৈরির লাইসেন্স প্রদান করেছে সিডিএসসিও।
আরও পড়ুন: ‘হার্ড ইমিউনিটি’ পেতে কত খেসারত?
টেস্টিং নিয়ে মঙ্গলবার একটি নতুন অ্যাডভাইজ়রি জারি করেছে আইসিএমআর। তার তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ৫৫৭টি আরটি-পিসিআর, ট্রু-ন্যাট ৩৬৩ এবং সিবি-ন্যাট কেন্দ্র ৮০টি রয়েছে। রাজার দাবি, তাঁর প্রযুক্তিতে কম খরচে, অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ নির্ণয়ে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মলিকিউলার ডায়গনস্টিক কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে জায়গা চেয়ে শিল্পভবনে আবেদন করেছেন স্টার্ট-আপ ব্যবসায়ী। তাঁর কথায়, ‘‘জেলায় জায়গা পেলে গ্রামের গরিব মানুষগুলোর কাছে পৌঁছতে পারি। আমাদের প্রস্তাবিত ল্যাবে প্রতিদিন চার হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব।’’ রাজাবাবু জানিয়েছেন, তাঁর এই স্বপ্নপূরণে আমপানের মধ্যেও সহযোগিতা করেছে সিডিএসসিও’র পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট ড্রাগস কন্ট্রোলার অরূপ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর সহকর্মীরা।
আরও পড়ুন: করোনা সারাতে সিদ্ধায় ভরসা তামিলনাড়ু সরকারের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy