লকডাউন না-মেনে রাস্তায় বেরোনোয় মার পুলিশের। রামপুরহাটের জয়কৃষ্ণপুরে। মঙ্গলবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
এলাকাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়নি কেন, তা নিয়ে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই ছিল প্রশ্ন। ছবিটা বদলাল মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করার পরে।
এ দিন সকালেও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরের পথে ভিড় ছিল অন্য দিনের মতো। আনাজের বাজার, মুদি ও মিষ্টি-চা-তেলেভাজার দোকানেও ভিড়। আড্ডা-আলোচনায় প্রশ্ন উঠছিল, কেন লকডাউন হয়নি। প্রাক্তন পুরপ্রধান, তৃণমূল নেতা ভবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রঘুনাথপুর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। মহকুমা সদর হওয়ায় বিভিন্ন ব্লক থেকে অবাধে লোক ঢুকছিলেন। এই অবস্থায় লকডাউন জরুরি হয়ে পড়ে।’’ তিনি বিষয়টি মহকুমা প্রশাসনকে জানান। বিকেলে রাস্তায় নামে পুলিশ। অত্যাবশ্যক পণ্য বাদ দিয়ে বাকি দোকান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। অযথা ভিড় না-করার জন্য চলে মাইকে ঘোষণা। কোথাও জনতা ভিড় জমাচ্ছে দেখলেই লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করেন পুলিশকর্মীরা।
পূর্ব বর্ধমানের পাঁচটি পুরসভা ও বর্ধমান শহর লাগোয়া কয়েকটি এলাকা লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এ দিন বিকেল থেকে সর্বত্র লকডাউন করার কথা ঘোষণা হতেই পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়। লাঠি উঁচিয়ে মেমারির সাতগেছিয়া বাজারের আড্ডা থেকে কিছু লোককে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, আচমকা এলাকার সব কিছু বন্ধ হওয়ায় তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন। অত্যাবশ্যক জিনিসের কালোবাজারিও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের। জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামে গ্রামে নজরদারি শুরু করেছি। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ থাকবে।’’
সোমবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এবং এ দিন নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, কুলতলি, সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা ও উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লকে। আগে থেকেই পুলিশ মানুষকে বাড়িতে থাকার আবেদন জানাচ্ছিল। নির্দেশ না-মানলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy