প্রতীকী ছবি।
করোনা আবহে লোকাল ট্রেন কবে চলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ট্রেন চালানোর অনুমতি মিললে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি স্টেশন নিয়ে চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ঈশাক খান জানান, পরিষেবা শুরু করার যাবতীয় প্রস্তুতি তাঁদের থাকলেও মূলত, হাওড়া, ব্যান্ডেল এবং বর্ধমান স্টেশনের ভিড় নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। ফলে ওই তিন স্টেশনে দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা-সহ অন্যান্য সতর্কতা মানতে তাঁরা রাজ্যের সাহায্য চাইবেন। হাওড়া - বর্ধমান শাখার মেন লাইনে বর্ধমান এবং ব্যান্ডেল থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী কলকাতায় যাতায়াত করেন। শুধু বর্ধমান স্টেশন থেকেই প্রাক-করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিদিন এক লক্ষের বেশি যাত্রী টিকিট কাটতেন। ব্যান্ডেল স্টেশনে ওই সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজারের কাছাকাছি। হাওড়া স্টেশনে টিকিট বিক্রির নিরিখে ওই সংখ্যা ছয় লক্ষের কাছাকাছি। ফলে এই স্টেশনগুলির কথা মাথায় রেখেই রেলকে বিশেষ গ্যালোপিং ট্রেন চালানোর কথা ভাবতে হতে পারে। তবে , কোন পরিস্থিতিতে কী ভাবে ট্রেন চলবে তার সব কিছুই নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক , রেল এবং রাজ্য সরকারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের উপর।
এ দিন সাংবাদিকদের হাওড়ার ডি আর এম জানান, করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিবহণ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় রেলের আয় কমেছে। আয় কমেছে পণ্য পরিবহণ , বিজ্ঞাপন এবং অন্য সব ক্ষেত্রে। বিগত অর্থ বছরের তুলনায় কমবেশি ৭২% কম আয় হচ্ছে রেলের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ কমিটি গড়ে পণ্য পরিবহণে জোর দিচ্ছে রেল। কয়লা, লোহা, রাসায়নিক সারের মতো পণ্য ছাড়াও রেল রাজ্য থেকে চাল ও আলুর মতো পণ্যের উপরে জোর দিচ্ছে। লকডাউন পর্বে এ রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেলের মাধ্যমে মশলা পাঠানো হয়েছে। এ দিন হাওড়ার ডি আর এম জানান, ট্রেনের সামনে ও পিছনে জোড়া ইঞ্জিন ব্যবহার করে ‘পুশ-পুল’ পদ্ধতিতে রাজধানী এক্সপ্রেস চালানোর যাবতীয় পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy