রূপোলি ফসল। —নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গা নয়, পদ্মাও নয়, ইলিশের দেখা মিলল এ বারে মানসাই নদীতে। কোচবিহারের মাথাভাঙা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে এই নদী। এতটা উজিয়ে ইলিশ আসার ঘটনা একেবারে বিরল নয় ঠিকই। তবে নিয়মিত এই ভাবে ইলিশ আসে না। সে দিক থেকে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা খুবই খুশি। আগামী কয়েক দিন ‘ইলিশ শিকার’ অভিযানের তোড়জোরও শুরু হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সামান্য হলেও প্রতি বছর কিছু ইলিশ মেলে মানসাই নদী থেকে। তিন বছর আগে হঠাৎই ভাল পরিমাণ ইলিশ ওঠে মৎস্যজীবীদের জালে। কিন্তু তার পরে যে কে সেই। এ বছরও দেরিতে বৃষ্টি শুরু হয়। তাই এ দিকে ইলিশ আসেনি। মৎস্যজীবীরা বলছেন, মানসাই বাংলাদেশে ঢুকে মিশেছে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে। আবার ব্রহ্মপুত্র মিলেছে পদ্মার সঙ্গে। পদ্মা থেকে মানসাইয়ের নদীপথ ৪০০ কিলোমিটার হওয়া সত্ত্বেও এই পথেই মাঝেমধ্যে চলে আসে ইলিশ। এ বার অবশ্য আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে মাথাভাঙা শহর সংলগ্ন এলাকা, নিশিগঞ্জ ও পূর্ব ভোগডাবরি এলাকায় মৎস্যজীবীদের জালে সদ্য সদ্য উঠেছে ইলিশ। তাতে এক কেজি দু’শো গ্রামের মাছও রয়েছে।
সমু দাস স্থানীয় মৎস্যজীবী। তিনি বলেন, ‘‘ইলিশ ওঠার খবর পেয়ে সকাল থেকে অনেকেই চলে আসেন নদী তীরে মাছ কিনতে। আশা করছি আরও পাব।’’ মাথাভাঙা-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক রাতুল ঘোষাল বলেন, ‘‘মাথাভাঙার মানসাইতে কিছু পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়। তবে স্বাদ পদ্মার বা গঙ্গার ইলিশের মতো না। তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই। টাটকা ইলিশ তো পাওয়া যাচ্ছে। তাতেই খুশি স্থানীয় মানুষ।’’
এ দিন এক ঝাঁক মাছ দেখে স্থানীয় মৎস্য আধিকারিকেরাও আশাবাদী, নভেম্বর জুড়ে মানসাই থেকে মিলবে জলের রুপোলি শস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy