বেলিয়াতোড়ে মৃত হাতি। নিজস্ব চিত্র।
একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের ময়রাপুকুর এলাকায়। শুক্রবার সকালে পাত্রসায়ের ব্লকের ময়রাপুকুর এলাকায় একটি ধানজমির আলে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। বন দফতরে খবর পাঠানো হলে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
বন আধিকারিকরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে হাতির মৃত্যুর কারণ বুঝতে পারেননি। বন দফতর জানিয়েছে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্ত করা হবে। সূত্রের খবর, ময়রাপুকুর সংলগ্ন জঙ্গলে থাকা দলটির কয়েকটি হাতি খাবারের খোঁজে জঙ্গল লাগোয়া কৃষি জমিতে নেমেছিল। সেই সময়ই হাতিটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে।
বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই শুক্রবার বলেন, ‘‘হাতির মৃত্যু কী ভাবে হল তা এখনই বলা সম্ভব নয়। পশু চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। হাতিটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।’’ বাঁকুড়া জেলায় হাতি সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে জড়িত সংগ্রামী গণমঞ্চের সম্পাদক শুভ্রাংশু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুনো হাতির এই অস্বাভাবিক মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই হাতিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক বন দফতর।’’
বন দফতর সূত্রের খবর, মাস দু’য়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দফায় দফায় প্রবেশ করে দলমা থেকে আসা ৮০টি হাতির পাল। এর পর জয়পুর, সোনামুখী, বেলিয়াতোড় হয়ে বড়জোড়া রেঞ্জে এসে পৌঁছায় হাতির দলটি। বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড়ের সীমানা এলাকায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে সপ্তাহ খানেক আগে কেন্দ্রীয় ভাবে হাতি খেদানোর কাজ শুরু করে বন দফতর।
এর পর হাতির দলটি আশ্রয় নেয় পাত্রসায়র ব্লকের ময়রাপুকুর গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে। সম্প্রতি ওই জঙ্গলে দু’টি হাতি শাবক প্রসব করায় সপ্তাহ খানেক ধরে হাতির দলটি আর সেভাবে নড়াচড়া করেনি। শাবকগুলির ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় বন দফতরও হাতির দলটিকে খেদানোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy