Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৪

বিতর্কের মুখে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার সোহরাবের

তীব্র বিতর্কের মুখে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন সোহরাব আলি। রেলের লোহা চুরিতে দোষী সাব্যস্ত রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সরে দাঁড়ালেন আসানসোল নগর নিগমের নির্বাচন থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৫:৪২
Share: Save:

তীব্র বিতর্কের মুখে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলেন সোহরাব আলি। রেলের লোহা চুরিতে দোষী সাব্যস্ত রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সরে দাঁড়ালেন আসানসোল নগর নিগমের নির্বাচন থেকে। বুধবারই আসানসোলের ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। সোহরাবের স্ত্রী অবশ্য সেই ওয়ার্ডেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তৃণমূল তাঁকে সমরথনের কথা ঘোষণাও করেছে।

সপ্তাহখানেক আগেই আদালত সোহরাব আলির দু’বছরের কারাদণ্ডের কথা ঘোষণা করে। তাঁর বিরুদ্ধে রেলের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই সাজা। এই রায়ের ফলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। চুরির দায়ে অভিযুক্ত সেই বিধায়ককেই আবার আসানসোল নগর নিগমের নির্বাচনেও টিকিট দিয়েছিল শাসক দল। বুধবারই তিনি মনোনয়ন জমা দেন। তাতে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। ফলে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হল তাঁকে। এ দিন তিনি নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা সম্ভবত আঁচ করেছিলেন সোহরাব। তাই নিজের স্ত্রীকে নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন ৮২ নম্বর ওয়ার্ডেই। সোহরাব মনোনয়ন তুলে নিলেও, তাঁর স্ত্রী’র প্রার্থী পদ কিন্তু এখনও বহাল। জেলা তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ওয়ার্ডে সোহরাব আলির স্ত্রীকেই সমর্থন করবে দল।

বিরোধী দলগুলির মধ্যে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “কেন সোহরাবকে মনোনয়ন দিল আর কেনই বা প্রত্যাহার, তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এ সব ওঁদের দলীয় বিষয়। কিন্তু, তৃণমূল যে সোহরাবদের সঙ্গেই রয়েছে, তা আবার প্রমাণিত। না হলে ওঁকে মনোনয়ন দিতই না। আর ওঁর স্ত্রীকে সমর্থন করার পর আর কিছুই চাপা রইল না।”

বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বললেন, “সোহরাবদের নিয়েই তৃণমূল। সুতরাং একটা সোহরাবকে রেখে বা সরিয়ে দলের চেহারা বদলানো যাবে না। সোহরাব কে, কোথা থেকে এসেছে, কোথায় যাচ্ছে, তা মানুষের কাছে স্পষ্ট। সুতরাং প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করিয়ে পাপ মোচন হবে না। আর সোহরাব আলির স্ত্রীকে তৃণমূল সমর্থন করার পর আর কী-ই বা বলার বাকি থাকে?”

কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “মাফিয়াদের ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস চলতে পারে না। এর চেয়ে ভাল কিছু ওদের কাছ থেকে আশা করি না।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy