নতুন মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র
শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সেই সমস্যার সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে সোমবার সকাল থেকে ওই অঞ্চলে বিশ্বভারতীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্থায়ী মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হল। এ দিন সকাল থেকেই বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবের তত্ত্বাবধানে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা দোকান ঘরগুলি সরানোর কাজ শুরু হয়। সেগুলিকে ওই এলাকাতেই পিছনের দিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।
প্রত্যেক ইচ্ছুক দোকানদারকে নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময় ১১ মাসের চুক্তিতে বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমিতে দোকান করার অনুমতি দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই চুক্তি সর্বাধিক চারবার পুনর্নবীকরণ করা যাবে। তারপর বিশ্বভারতী দোকানের ভাড়া বা আয়তন কম-বেশি করতে পারে। একই সঙ্গে মার্কেটের সামনে ফাঁকা মাঠে একটি বসার জায়গা এবং একটি চা-এর স্টলও তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বহু দিন ধরে নানা জটিলতার ফলে একদল ব্যবসায়ী বিনা ভাড়ায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমির সুবিধা ভোগ করেছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরাও যেমন আইনি ভাবে বিনা বাধায় ব্যবসা করতে পারবেন, তেমনই কর্তৃপক্ষও জমি বাবদ বেশ খানিকটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
খুশি ব্যবসায়ীরাও। তবে, বেশ কিছু দোকানদার, মূলত যাঁরা খাবারের দোকান চালান, তাঁরা দোকানের আয়তন বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন। আধিকারিকদের দাবি, যদি ফাঁকা জায়গা থাকে, তবে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে ঠিক ভাড়ার বিনিময়ে তাঁদের অধিক জায়গা দেওয়া যেতে পারে। তবে এই নতুন তৈরি হওয়া মার্কেটের নাম কী হবে, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।
পূর্বে এই বাজারটি অমর্ত্য সেনের নামে ‘অমর্ত্য মার্কেট’ বলেই পরিচিত ছিল, তবে সেই নাম যে আর থাকছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। পরিবর্তে হিউ-এন-সাং, ওকাকুরা, ক্ষিতিমোহন সেন সহ বেশ কিছু নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক বলেন, “কোনও জীবিত ব্যক্তির নামে বাজারের নামকরণ করা হবে না। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারের নাম স্থির করে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy