গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার জন্য কেন মাঠ ব্যবহার করা যাবে না, তা নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, পৌষমেলার জন্য কেন তাঁরা মাঠ দিতে রাজি নন। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এ বছর আগামী পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি বিশ্বভারতী। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা গুরুমুখ জেঠওয়ানি। হাই কোর্টে বিশ্বভারতীর দাবি, বিগত বছরগুলিতে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু অনেকেই সেই শর্ত মেনে চলেন না। ফলে পরিবেশ আদালতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। অন্য দিকে, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের বক্তব্য— বিশ্বভারতীর আপত্তি থাকলে মেলা করা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কিন্তু জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মেলা করাও দরকার। দীর্ঘ দিন ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। তাই আদালতই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিক।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতন পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর করোনা আবহে মেলার অনুমোদন দেননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে আয়োজিত হয় পৌষমেলার। কিন্তু এ বার শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লির মেলার মাঠেই পৌষমেলা করার দাবি জানান, স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা পূর্বপল্লির মাঠেই করার দাবিতে কয়েক সপ্তাহ আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ‘শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটি’। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের তরফেও পৌষমেলা করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy