Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

‘মডেল’ নিভৃতাবাস, দিলীপের দাবিতে বিতর্ক

প্রথম থেকেই রাজ্যের নিভৃতবাস কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ করছে বিজেপি। এরই মধ্যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভায় তাঁর ‘করোনা এক্সপ্রেস’ সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক।

দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর ও মেদিনীপুর: শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ০২:০৬
Share: Save:

‘করোনা এক্সপ্রেস’ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই রাজ্যের এক নিভৃতবাস কেন্দ্রের প্রশংসা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ! ঘটনাচক্রে যে নিভৃতবাস কেন্দ্রটির তিনি প্রশংসা করছেন সেটির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে বিজেপি পরিচালিত একটি গ্রাম পঞ্চায়েত। খড়্গপুর-১ ব্লকের অর্জুনী পল্লি উন্নয়নী জ্ঞান মন্দিরে চলা নিভৃতবাস কেন্দ্রটিকে ‘মডেল’ বলে দাবি করেছেন দিলীপ।

প্রথম থেকেই রাজ্যের নিভৃতবাস কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ করছে বিজেপি। এরই মধ্যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভার্চুয়াল সভায় তাঁর ‘করোনা এক্সপ্রেস’ সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। এই আবহেই শুক্রবার অর্জুনী পল্লি উন্নয়নী জ্ঞান মন্দিরে চলা নিভৃতবাস কেন্দ্র পরিদর্শনে যান দিলীপ। ২৩ জন পরিযায়ী রয়েছেন এখানে। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে দিলীপ বলেন, “রাজ্যের অধিকাংশ কোয়রান্টিন সেন্টারে দেখা যাচ্ছিল নিম্নমানের খাবার, অপরিচ্ছন্ন চেহারা। মানুষ সাপের ছোবল পর্যন্ত খেয়েছে। তাই আমাদের এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আমরা এই অর্জুনী হাইস্কুলে মডেল কোয়রান্টিন সেন্টার গড়ে একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বাইরে থেকে আসা মানুষকে রাখছি।”

কেন ওই নিভৃতবাস কেন্দ্র মডেল? বিজেপির দাবি, এখানে ঘরোয়া পরিবেশে থাকছেন পরিযায়ীরা। যোগাসন, গান, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা-সহ নানা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। গোয়া থেকে ফেরা জঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক কার্তিক মাহাতো বলেন, “এখানে ভাল আছি। কোনও অসুবিধা নেই।” তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ভবেশ মাহাতো অবশ্য বলছে, “কোয়রান্টিন কেন্দ্রে আমরা যাই না। তাই ভিতরে কী অবস্থা বলতে পারব না। কিন্তু গান, যোগা এসব আয়োজনের কথা ঠিক নয়। বিজেপি সাজিয়ে বলছে।” এক ধাপ এগিয়ে বিজেপির অভিযোগ, প্রশাসনিক বাধায় এ দিন গানের আসর করা যায়নি। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘বাকি কেন্দ্রগুলির মতো সরকারিভাবেই ওই কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কোয়রান্টিন কেন্দ্র কি ভিড় করে গান, যোগার জায়গা? তাই বাইরের অতিরিক্ত লোক ভিড় করতে দেওয়া হয়নি।’’

এ দিন খড়্গপুর থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছন দিলীপ। দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে সরব হন তিনি। দিলীপ বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে, বিজেপি কি করছে? বিজেপি খালি রাজনীতি করছে। রাজনীতি তো আমি করবই। আমি তো কীর্তন করতে আসিনি এখানে। কাজ যদি না হয় ভুল ধরার দায়িত্ব আমার আছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকেও বিঁধেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ‘‘এ জেলায় তৃণমূলের একজন সভাপতি আছেন, খুব বকবক করেন। তাঁর কথা শুনে মনে হয়, ডিএম- এসপি এখানে কিছু করছেন না, উনিই জেলাটাকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন।’’ অজিতের পাল্টা, ‘‘এতদিন পরে উনি মেদিনীপুরে এলেন। উনি বুঝেছেন, রোগ আর ওকে ধরবে না, তাই এলেন!’’ কেন্দ্রের টাকা অপব্যবহার, রাস্তার কাজে দুর্নীতির প্রসঙ্গেও সরব হয়েছেন দিলীপ।

অন্য বিষয়গুলি:

Dilip ghosh bjp coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy