বাংলা দিবস নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের অবসান হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি ১৬ জুন তারিখকে বাংলা দিবস হিসাবে মান্যতা দিয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার প্রস্তাব পাশ করলেও তা কার্যকরী হবে না। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল আমাদের জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২০ জুন তারিখকে বাংলা দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই অবস্থায় সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার অধিকার এবং ক্ষমতা কারোর নেই। তাই ওই দিনটিকেই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করব।’’
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পয়লা বৈশাখ দিনটিকে রাজ্য দিবস হিসাবে প্রস্তাব পাশ করে শাসকদল তৃণমূল। অধিবেশন কক্ষে এর বিরোধিতা করে বিজেপি। ওই দিনটিকে তারা মানবেন না বলে জানান শুভেন্দু। পরে অধিবেশনের মাঝপথে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন। তাঁদের সামনে কিছু তথ্যও তুলে ধরেন তিনি। পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্য দিবস হিসাবে সব বিতর্কের অবসান হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি টুইট করে ২০ জুন বাংলার মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সব রাজভবনে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ওই দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস। তাই এ নিয়ে কোনও বিতর্কের প্রয়োজন নেই।’’
আরও পড়ুন:
রাজ্য সরকার পয়লা বৈশাখ দিনটিকে প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করার কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে বিধানসভায়। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘২০ জুনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ভুলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা পিসি এবং ভাইপোর নেই। গায়ের জোরে ওঁরা পয়লা বৈশাখ করতেই পারে কিন্তু তাতে সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না। এর জন্য জনগণের টাকা খরচ করতেও পারবেন না। কারণ, রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার অধিকার সংবিধান কাউকে দেয়নি।’’ এর আগে ১৬ জুন দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করা হয় রাজভবনে। স্বাভাবিক ভাবে বিধানসভায় প্রস্তাবের বিপক্ষে রাজ্যপালও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা দিবসের প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলে কিছু যায় আসে না। স্বভাবতই, শুভেন্দু যাই বলুন না কেন এই বিষয়টি বিতর্ক থাকছেই।