প্রতীকী ছবি।
ভোটের মুখে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে। কারণ, এত দিন তাঁরা এজেন্সি বা নিয়োগ সংস্থা থেকে বেতন পেতেন। এ বার তাঁদের নাম উঠবে সরকারি খাতায়। অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরে এ বার রাজ্যের বিভিন্ন দফতর, নিগম, পর্ষদ এবং কেন্দ্র বা রাজ্যের মেয়াদি প্রকল্পের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের অর্থ দফতরের অধীনে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নবান্ন।
দিন দুয়েক আগে অর্থ দফতর নির্দেশিকা জারি করে সব তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে জীবনপঞ্জি নবান্নে পাঠাতে বলেছে। আপাতত সরকার তাঁদের চুক্তিমাফিক বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত দিন তাঁদের একাংশ সরকারের কাছ থেকে সরাসরি বেতন পেলেও অধিকাংশ কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল এজেন্সির মাধ্যমে। নবান্নের খবর, সব মিলিয়ে এমন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। তাঁদের সকলে এ বার সরকারের কাছ থেকে বেতন তো পাবেনই। কালক্রমে তাঁদের চাকরি পাকা হতে পারে বলেও আশা করছেন ওই কর্মীদের অনেকে।
নয়া ব্যবস্থায় সরকারেরও সুরাহার আশা করছেন অর্থকর্তারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তে ব্যয় কমবে। এখন ওই কর্মীদের যে-বেতন দিতে হয়, তার একাংশ চলে যায় নিয়োগ সংস্থার কাছে। সরকার সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বেতন দিলে এজেন্সির পরিষেবা বাবদ টাকা গুনতে হবে না। সেই টাকার পরিমাণ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতনের পাঁচ থেকে ১০%। পরবর্তী কালে সেটা কর্মীদের বেতনের সঙ্গেও যোগ করে দেওয়া যাবে।
যদিও এই সিদ্ধান্তে অর্থ দফতরের মধ্যেই কানাঘুষো শুরু হয়েছে। অন্য দফতরের অফিসারদের একাংশ জানান, সরকারি খাতায় চাকুরে হিসেবে নাম তুলতে হলে নিয়মবিধি মেনে বিজ্ঞাপন দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে তা না-করে এজেন্সির লোকেদের নাম সরাসরি সরকারি খাতায় তুলে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। অনেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে সদ্য নিযুক্ত পাঁচ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর কথাও তুলেছেন। তাঁরা সবে এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পরের মাসেই তাঁদের নাম তুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারি খাতায়।
অর্থ দফতরের একাংশের বক্তব্য, বাংলা সহায়ক কেন্দ্রের প্রকল্পটি পঞ্চায়েত দফতরের। সেখানে কর্মী নিয়োগের ভার তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতর আবার সেই কাজ দিয়েছে ওয়েবেল টেকনোলজিকে। ওয়েবেল কোথা থেকে লোক নিয়োগ করেছে, কোথায় বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে, কখন পরীক্ষা হয়েছে— কেউ জানে না। অথচ পাঁচ হাজার কর্মী নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। ওয়েবেল সূত্রের খবর, নবান্নের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে অর্থকর্তাদের কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি।
‘‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে লোক দিতে বলেছি। তারা স্বচ্ছতার সঙ্গেই লোক দিচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস,’’ বলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, অন্য ‘থার্ড পার্টি’ নিয়োগ যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। এজেন্সিকে লোক দিতে বলা হয়েছে। তারা কোথা থেকে তালিকা পেয়েছে, সে-কথা তারাই বলতে পারবে। এজেন্সি মারফত আসা সেই সব তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকেই সরকার এ বার সরাসরি নিয়োগপত্র দেবে বলে অর্থ দফতর সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: প্রায় গৃহবন্দি রইলেন শুভেন্দু, আজ কী বলবেন মহিষাদলে, জল্পনা তুঙ্গে
করোনা পরিস্থিতিতে এ বার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মেলা করা যাবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল বিভিন্ন মহলে। সংশয়ে ছিল পুলিশ ও প্রশাসনও। তবে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেয়েই তাঁরা মেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বলে শনিবার জানালেন এসডিও (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত। যদিও কোনও ভাবেই দূরত্ব ও স্বাস্থ্য-বিধি অবমাননা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ মাস সামাজিক উৎসব নিষিদ্ধ হতে পারে ব্রিটেনে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy