কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একগুচ্ছ নীতির বিরুদ্ধে ‘জনজাগরণ’ কর্মসূচি নিয়ে পথে নামল কংগ্রেস। কলকাতায় রবিবার জোড়া মিছিল থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।
পেট্রল, ডিজ়েল, রান্নার গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বেসরকারিকরণ-সহ নানা বিষয়ের প্রতিবাদে ১৪ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত ‘জনজাগরণ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে রবিবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের আয়োজনে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার, মায়া ঘোষ, কৃষ্ণা দেবনাথ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদেরা। তার আগে জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন উপলক্ষে জে এল নেহরু রোড ও পার্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত আরও একটি মিছিল করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। ‘জনজাগরণ’ উপলক্ষেই এই কর্মসূচিতে ছিলেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপবাবু, অমিতাভ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান-সহ যুব সংগঠন এবং আইএনটিইউসি-র নেতা-কর্মীরা।
হাজরা মোড়ে পদযাত্রা শেষে অধীরবাবু বলেন, ‘‘নোটবন্দি করার সময়ে মোদী বলেছিলেন, যাঁদের কাছে কালো টাকা আছে, এর ফলে তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে যাবে। কিন্তু দেখা গেল, দুর্দশায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই রকম ভাবে নানা সময়ে নানা কথা বলে, স্লোগান দিয়ে মোদী এক একটা কাজ করেছেন এবং তার ফলে সাধারণ মানুষকে মাসুল দিতে হয়েছে।’’ ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর গোড়ার দিকে মোদীর পরামর্শদাতা ছিলেন, সেই তথ্য উল্লেখ করে এ দিন প্রদেশ সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘উনি মোদীর হাতেও তামাক খান, দিদির হাতেও তামাক খান! উনিই ‘আচ্ছে দিন’-এর স্লোগান তৈরি করে দিয়েছিলেন।

নেহেরুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মিছিল আব্দুল মান্নান।
এখন দেখা যাচ্ছে মোদী আর দিদির মধ্যে একটা সেতু রয়েছে!’’ প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জানাতে চাইছি, ভারতবর্ষের মানুষ এমন অগণতান্ত্রিক সরকারকে বরদাস্ত করবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন করে আবার কংগ্রেসের নেতৃত্বে দেশের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’’
বিধাননগর কংগ্রেসের উদ্যোগেও ‘জনজাগরণ’ কর্মসূচিতে এ দিন জাতীয় রাজনীতিতে নেহরুর ভূমিকার বিষয়ে আলোচনা ছিল। সেখানে অংশগ্রহণ করেন শান্তনু দত্ত চৌধুরী, অরুণাভ ঘোষ, শুভঙ্করেরা।