Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Congress

জেলার মতামত নিয়ে বিমানকে বার্তা অধীরের

অধীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘জোট করেই যে লড়তে হবে, সেই ব্যাপারে জেলা সভাপতিরা একমত। জোট তো করা হবেই।”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০৫:০১
Share: Save:

বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই এবং তার আগে যৌথ আন্দোলনের পক্ষেই মত দিলেন কংগ্রেসের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতিরা। প্রদেশ কংগ্রেসের কমিটি এবং নতুন জেলা সভাপতিদের তালিকা ঘোষণা হয়েছে দু’দিন আগে। তার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে। জেলা সভাপতিদের মনোভাব বুঝে নিয়ে বহরমপুর থেকেই অধীরবাবু আলিমুদ্দিনে বার্তা দিয়েছেন, সময় বাঁচানোর খাতিরে বিমান বসুদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠক করতেও তাঁরা তৈরি।

বিমানবাবু কয়েক দিন আগে প্রদেশ সভাপতিকে ফোন করেছিলেন। বার্তা পাওয়ার পরে বুধবারই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বিমানবাবু জানিয়েছেন, দিল্লি বা বহরমপুরে অধীরবাবু নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকলে প্রয়োজনে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব ‘ভার্চুয়াল’ আলোচনা সেরে নেবেন।

অধীরবাবু এ দিন বলেন, ‘‘জোট করেই যে লড়তে হবে, সেই ব্যাপারে জেলা সভাপতিরা একমত। জোট তো করা হবেই। তবে শুধু জোটের ভরসায় থাকলে চলবে না। তাই জেলা সভাপতিদের বলা হয়েছে, যৌথ কর্মসূচির পাশাপাশিই দলীয় আন্দোলন, কর্মসূচি বাড়াতে হবে।’’ এরই পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আবেদন করেছেন, ‘নানা ভাবে এই জোট সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে ও হবে। কংগ্রেস ও বাম দলের বন্ধুরা কোনও অপপ্রচারে কান দেবেন না। সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন, সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ, সঙ্ঘবদ্ধ নির্বাচন, সঙ্ঘবদ্ধ জয় আমাদের নিশ্চিত করতে হবে’।

দু’পক্ষের যৌথ কর্মসূচি অবশ্য বহালই রয়েছে। শ্রমিক নেতা বাসুদেব ভট্টাচার্যের স্মরণে এ দিনই সন্ধ্যায় বরানগরে সিপিএমের আয়োজিত জনসভায় বামেদের মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মানস মুখোপাধ্যায়, তন্ময় ভট্টাচার্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান।

অন্য দিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাসনকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন রোহন মিত্র। প্রয়াত প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকেও সহ-সভাপতি পদে রাখতে চেয়েছিলেন অধীরবাবু। তবে শিখাদেবী পদ নিতে রাজি হননি। আবার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি থাকতে আগ্রহী নন বলে প্রদেশ সভাপতিকে চিঠি দিয়েছেন গত লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী, আইনজীবী শাহিদ ইমাম।

অন্য বিষয়গুলি:

Congress CPM Adhir Chowdhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy