বিধানসভার বাইরে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সুদীপ আচার্য।
পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাবের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতের পরেও দলীয় পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি তৃণমূলেই যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে অবশ্য বৃহস্পতিবার রাত অবধিও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে
রবিবাবুর দাবি।
কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা সোহরাবই শুধু নন, দলের অন্যান্য বিধায়কও এ দিন রবিবাবুকে অনুরোধ করেছেন কংগ্রেস না ছাড়তে। কিন্তু তাঁদের তিনি কোনও আশ্বাস না দিয়ে বিষয়টি ভেবে দেখার কথা বলেছেন। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সহকারী নেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদে তাঁর ইস্তফা প্রত্যাহার করারও অনুরোধ করেছেন সোহরাব। কিন্তু রবিবাবু তা প্রত্যাহার করতে নারাজ।
তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, আজ, শুক্রবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে শাসক দলে যোগ দিতে পারেন রবিবাবু। তবে রবিবাবুর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, কাটোয়ার বিধায়ক এখনও তৃণমূলে যেতে নিমরাজি। তার উপরে দলীয় বিধায়কদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মানসিক ভাবে কিছুটা দোলাচলেই আছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে এ দিন রাতে নিজেই ফোন করেন রবিবাবু। এলাকায় রবিবাবুর কী অসুবিধা হচ্ছে, অধীর তা জানতে চেয়েছিলেন রবিবাবুর কাছে। আজ অধীর কলকাতায় ফিরলে তাঁর সঙ্গে সবিস্তার কথা বলার পরেই রবিবাবু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
বিধানসভায় সোহরাবের সঙ্গে কথা বলে বেরোনোর সময় এ দিন রবিবাবু বলে গিয়েছিলেন, ‘‘কর্মীরা কংগ্রেসে না থাকার পক্ষেই।’’ সেই কর্মীদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে রাতে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে রবিবাবু কাটোয়ায় সন্ত্রাস এবং তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলার প্রসঙ্গ জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ডি়জি-র মাধ্যমে জেলার এসপিকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও এলাকার পরিস্থিতি বদলায়নি বলে রবিবাবুর অভিযোগ। ঘরছাড়া কংগ্রেস কর্মীরা এখনও ঘরে ফেরেনি। তাঁর এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে দেওয়া ‘মিথ্যা মামলা’ও প্রত্যাহৃত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy