বিধানচন্দ্র রায় স্মরণে কংগ্রেসের পাশে বাম নেতারা। বুধবার বিধান ভবনে। নিজস্ব চিত্র
বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিনে স্মরণ অনুষ্ঠানকে এক সুরে বেঁধে জোটের বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। সরকারি অনুষ্ঠানের বাইরে বিধান-স্মরণে রাজনৈতিক মঞ্চে এই প্রথম একসঙ্গে দেখা গেল দুপক্ষকে। একই সূত্র ধরে আজ, বৃহস্পতিবার প্রয়াত বাম নেতা অশোক ঘোষের জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা কংগ্রেস নেতাদের। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণ অনুষ্ঠান থেকে বাম ও কংগ্রেস নেতারা যেমন সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন, তেমনই সে আমলে বিরোধীধের মর্যাদার প্রসঙ্গ তুলে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অভিযোগে সরব হয়েছেন।
বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আয়োজনে প্রতি বছর ১ জুলাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণ অনুষ্ঠান হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের আমন্ত্রণে বুধবার বিধান ভবনে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্যেরা। ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিধায়ক অসিত মিত্র ও সুখবিলাস বর্মা, প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায়, অমিতাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। পরে আইসিসিআর-এ বিধানচন্দ্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শীর্ষক একটি আলোচনা-সভাতেও ছিলেন প্রদীপবাবু, সুজনবাবুরা। সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এবং তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিধান ভবনের অনুষ্ঠানে এ দিন সুজনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের এবং কংগ্রেসের রাজনীতির ফারাক আছে। কিন্তু যে প্রশ্নে একসঙ্গে লড়াই করা প্রয়োজন, সেখানে ঐকমত্যও আছে।’’ বিরোধী নেতা জ্যোতি বসুকে মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্রের দেওয়া মর্যাদা, দুর্গাপুর প্রকল্পের সময়ে বিরোধী নেতা হিসেবে জ্যোতিবাবুর মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা, পরবর্তী কালে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জ্যোতিবাবুর হাতে সল্টলেকের বিধাননগর নামকরণ— এ সব কিছুই মনে করিয়ে বর্তমান সময়ে বিরোধীদের মর্যাদা না দেওয়া এবং গণতন্ত্র হরণের প্রসঙ্গ তোলেন সুজনবাবু। সোমেনবাবু বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে আগে কখনও বাম নেতাদের ডাকিনি। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যে এখন যারা সরকার চালাচ্ছে, তাদের প্রতিহত করতে গেলে কংগ্রেস বা বাম কারওরই একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে যৌথ ভাবেই আমাদের কর্মসূচি নিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy