দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে ‘রণক্লান্ত’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।
কেন কংগ্রেসের বিকল্প হয়ে উঠতে চায় তৃণমূল? দলীয় মুখপত্রে তার ব্যাখ্যা দিল তারা। বুধবার সকালে প্রকাশিত তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তর্দ্বন্দ্ব আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। যেন ব্যাটন বইতে অপারগ। কিন্তু সময় পড়ে থাকে না। কাউকে এগিয়ে আসতেই হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সেই দায়িত্ব পালন করবে। তারাই আসল কংগ্রেস।’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লিতে পা দিয়েই সংসদীয় দলের বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হতে বলেছেন। তাই সেই বৈঠকের রেশ ধরেই লেখা হয়েছে দলীয় মুখপত্রের সেই সম্পাদকীয়। আর সেই সম্পাদকীয়তেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থান।
বৈঠকের কথা উল্লেখ করে ওই সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, দিল্লিতে সংসদ ভবন চত্বরে বসে দলের সর্বভারতীর সাধারণ সম্পাদক সাফ জানালেন, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শক্তি বাডা়বে। দল মনে করে, দেশের প্রধান শত্রু ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই দলকে ২০২৪-এর ভোটে দিল্লির মসনদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। নইলে গণতন্ত্রের বিপদ। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিপদ। বিপদ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।’ অভিষেকের নেতৃত্বে যে ভিন্ রাজ্যেও তৃণমূল নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে। লেখা হয়েছে, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তার শক্তি বাড়াচ্ছে। ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়া তার প্রকৃষ্ট উদাহারণ। এর পর হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, অসমে তৃণমূল কংগ্রেস তার অস্বিস্ত জানান দেবে।’ নিজেদের শক্তি বাড়ালেও, কংগ্রেসকে সূক্ষ্ম বার্তাও দেওয়া হয়েছে এই সম্পাদকীয়তে। প্রতিবেদনের শেষে লেখা হয়েছে, ‘যদিও সকলকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চান অভিষেক।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy