প্রতীকী ছবি।
সাধ্যমতো প্রার্থী দিয়ে পুরভোটে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নামছে কংগ্রেস। রাজ্যে ১০৮টি পুরসভার ভোটে প্রায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিচ্ছে তারা। কিছু আসন ছাড়া থাকছে স্থানীয় স্তরে সমঝোতার ভিত্তিতে বামেদের জন্য, আর বাকিগুলিতে দলের তেমন সাংগঠনিক অস্তিত্ব নেই। এরই মধ্যে আবার কংগ্রেসকে ভোগাচ্ছে প্রার্থী বাছাই নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ঠিক কত আসনে তাঁরা প্রার্থী দিয়ে লড়াইয়ে থাকছেন, তা স্পষ্ট হবে কাল, বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনেই।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই বলেছিলেন, পুরভোটে তাঁরা বিরাট কিছু করবেন, এমন দাবি করার জায়গা নেই। কিন্তু মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ও অবাধে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি। বিধান ভবনে সোমবার প্রাক্তন বিধায়ক এবং কংগ্রেসের পুরভোট সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক অসিত মিত্র বেশ কিছু জেলার পুরসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, এই তালিকা আরও বাড়বে আগামী দু’দিনে। সব ওয়ার্ডে লড়াই করার পরিস্থিতি না থাকলেও এমন কোনও পুর-এলাকা থাকবে না, যেখানে গোটা পুরসভায় কংগ্রেসের কোনও না কোনও প্রার্থী নেই। অসিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘সাধ্যমতো জায়গায় আমরা প্রার্থী দিচ্ছি। জেলা বা স্থানীয় স্তরে যেখানে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে, সেখানে সেই আলোচনার ভিত্তিতেই কিছু ওয়ার্ড ছেড়ে রাখা হচ্ছে।’’
প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের অন্দরেই বিস্তর প্রশ্ন ও ক্ষোভ রয়েছে। কলকাতার পুরভোটের সময়ে প্রার্থী হওয়ার দাবিতে বা না হতে পারার প্রতিবাদে বিধান ভবনে বিক্ষোভ হয়েছিল। জেলায় জেলায় পরিস্থিতি ঠিক তেমন নয়। প্রদেশ স্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত কিছু নেতা এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত না হয়েই প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন বলে একাধিক জেলা থেকে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। হুগলির ক্ষেত্রে এই ‘ছড়ি ঘোরানো’ নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। প্রার্থী ঠিক করার ব্যাপারে কোথায় মত জানালে কাজ হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ জানিয়েছেন প্রদেশ স্তরের আরও কিছু নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসে যখন প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ এবং বিজেপিকে ঘিরে চোখে পড়ার মতো কোনও উৎসাহ নেই, সেই সময়ে কংগ্রেস তৎপর হলে এই পরিস্থিতির ফায়দা নিতে পারত বলে ওই নেতাদের মত। নেপাল মাহাতো, অসিতবাবু, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়-সহ ভারপ্রাপ্ত নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, প্রার্থী বাছাই নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy