বিধান ভবনে বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন পালনের অনুষ্ঠানে শিখা মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
অন্যান্য বারের পুরোদস্তুর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরে এ বার একটু অন্য ধারায় প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিন পালিত হল বিধান ভবনে। অতিমারি পরিস্থিতিতে ৬ জন প্রথিতযশা চিকিৎসককে সংবর্ধনা দেওয়া হল কংগ্রেসের সদর দফতরে। তবে সেই অনুষ্ঠানের অবসরেই বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর জোটের কথা তুলে আনলেন প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। তবে তাঁর ওই মত সম্পর্কে মন্তব্য করতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বিধান ভবনে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্ম ও মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’। প্রণব মুখোপাধ্যায় ও সোমেনবাবুর মৃত্যুর পরে শিখাদেবী এখন ওই ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন। চিকিৎসকদের সংবর্ধনার পরে বিধানবাবুর অবদানকে স্মরণে রেখে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, কৃষ্ণা দেবনাথ, সুব্রতা দত্ত, আব্দুস সাত্তারেরা। অনুষ্ঠানের পরে শিখাদেবী বলেন, ‘‘বাংলার জনগণ তৃণমূলকে এনেছেন। তৃণমূলকে অস্বীকার করার জায়গা নেই। বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়েই সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করা উচিত।’’ তাঁর মতে, বাম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তবে বামেদের সঙ্গে জোট থাকবে কি না বা তৃণমূলের হাত ধরা হবে কি না, তা দলের হাইকম্যান্ডই ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন শিখাদেবী। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে তৃণমূলকে নানা বিষয়ে সমর্থন করছেন, তা-ও উল্লেখ করেছেন তিনি। তৃণমূলের হয়েই দু’বার বিধায়ক হয়েছিলেন শিখাদেবী। বিশেষ কিছু অসুবিধার কারণে তিনি ছেড়ে এসেছিলেন এবং তার জন্য তাঁকে ‘দলবদলু’ বলা যাবে না বলেও এ দিন দাবি করেছেন সোমেন-জায়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy