এখনও অনেক স্কুলেই ছাত্রছাত্রীদের যে-পোশাক দেওয়ার কথা ছিল তা পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
ছাত্রছাত্রীদের যে-পোশাক দেওয়ার কথা ছিল গত বছর, এখনও অনেক স্কুলেই তা পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। তার মধ্যে এ বছর নতুন করে স্কুলপোশাকের জন্য মাপজোক নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হওয়ায় এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি।
শহরতলির একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, প্রাথমিক বিভাগের পড়ুয়ারা পেলেও ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা গত বছরের পোশাক পায়নি। তাদের মাপ নেওয়া হয়েছিল। কবে সেই পোশাক দেওয়া হবে, এখনও তার খোঁজ নিচ্ছেন অনেক অভিভাবক। ওই প্রধান শিক্ষকের কথায়, “এখন নতুন করে ওদের মাপ নেওয়ার কথা কী ভাবে বলি?’’
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, ‘‘গত বারের নীল-সাদা পোশাকের সঙ্গে বিশ্ব বাংলা লোগো জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারে অনেক স্কুলের আপত্তি ছিল। অভিযোগ ছিল পোশাকের মান নিয়েও। সেই সব প্রশ্ন ও অভিযোগের সুরাহা না-করে কেন আবার মাপজোক নেওয়া শুরু হচ্ছে?’’ প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক-নেতা চন্দন মাইতির বক্তব্য, পোশাক নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে তা শিক্ষকদেরই শুনতে হচ্ছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, করোনাকালের পরে গত বছর স্কুল কিছুটা দেরিতে খুলেছে। তার পরে গরমের ছুটি দ্রুত পড়ে যাওয়ায় পোশাকের মাপ নিতে দেরি হয়েছিল। এ বার সেই সমস্যা হবে না। পোশাক দ্রুতই পড়ুয়াদের কাছে পৌঁছে যাবে।
ডিআই বা জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা বিষয়টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (এসআই) জানিয়ে দিয়েছেন। বলা হয়েছে, এসআই-রা যেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলপোশাকের মাপজোক শুরুর বিষয়টি জানিয়ে দেন। সূত্রের খবর, গত বছরের মতো এ বারেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই স্কুলপোশাক তৈরি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy