—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে যে সমস্ত পড়ুয়া উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তারা পরের বছর পুরনো পাঠ্যক্রমে উচ্চ মাধ্যমিক দেবে, না কি নতুন পাঠ্যক্রমে পরীক্ষায় বসবে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত স্কুলের শিক্ষকেরা। কারণ, ২০২৪ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। ২০২৫ সালেই শেষ বারের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পুরনো পাঠ্যক্রমে হবে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, যারা এ বার টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারল না, তারা তো সিমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেনি। তাদের কি আবার নতুন সিমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিকদিতে হবে?
বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, এ বার উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের আবার টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। দ্য খিদিরপুর অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ মহম্মদ সালেহিন বলেন, ‘‘এই সমস্যা নিয়ে আমরা খুবই বিব্রত। টেস্টে যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের আবার কয়েক দিন পরে টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায়, এ বার তারা পাশ করে যাবে। শুধু আমাদের স্কুল নয়, অন্য বহু স্কুলই অনুত্তীর্ণদের জন্য আবার নতুন করে টেস্ট নিচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টেও যদি ফের তারা আটকে যায়, তা হলে তাদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দ্রুত জানিয়ে দিলে ভাল হয়।’’
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলছেন, ‘‘আমাদের স্কুলে দু’জন পড়ুয়া টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ওদের পুরনো না নতুন পাঠ্যক্রমে পড়তে হবে, তা এখনও জানি না। তবে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সব সময়ে পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয়। ওদের আর এক বার পুরনো পাঠ্যক্রমেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে ভাল হয়।’’ পার্থপ্রতিম জানান, এ বার যারা উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে পারবে না, তাদের নিয়েও একই সমস্যা তৈরি হবে। কারণ, চলতি বছরই পুরনো পদ্ধতিতে শেষ বারের মতো পরীক্ষা হচ্ছে। ২০২৬ সালে নতুন পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে। কিন্তু এ বার যারা উত্তীর্ণ হতে পারবে না, তাদের আরও কয়েক বার পুরনো পদ্ধতিতে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া দরকার। শিক্ষকদের একাংশের মতে, এর আগেও পুরনো পাঠ্যক্রম ও নতুন পাঠ্যক্রমের প্রশ্নপত্র একযোগে তৈরি হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এখনও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আমরা আসিনি। তবে, যারা এ বার টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারল না, তাদের পুরনো পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি নতুন পাঠ্যক্রমেও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সেটা হলে যার যে পদ্ধতিতে সুবিধা, সে সেই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা দিতে পারবে। এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। উচ্চ মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণেরা কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে, তা দ্রুত জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy