কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি চালু করে দেওয়ার পরে সাংবিধানিক রীতি মেনে রাজ্যে শেষ পর্যন্ত বিল আসছে। কিন্তু সেই বিলের উপরে আলোচনায় ঠিক কী বলা হবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী সিপিএম! একমাত্র বিজেপির দিলীপ ঘোষেরাই তৈরি নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের গুণগান করার জন্য।
রাজ্য সরকার প্রথমে জিএসটি সংক্রান্ত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল। সেই অধ্যাদেশ শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম দিনে বিধানসভায় পেশ করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তার পরে তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠকে বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক বেচারাম মান্না, উদয়ন গুহেরা প্রশ্ন তোলেন, জিএসটি বিল নিয়ে বিধানসভায় দু’দিনে চার ঘণ্টার আলোচনায় তাঁরা বলবেন কী? পরে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিধায়কদের বিষয়টি বুঝিয়ে দেবেন বলে জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: গরিব-স্বার্থেই হবে সংস্কার, দাবি অরুণ জেটলির
বিরোধী শিবিরেও বিভ্রান্তি কম নয়। আলিমুদ্দিনে দলের বিধায়কদের নিয়ে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। জিএসটি নিয়ে পরামর্শ দিতে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তকে। সিপিএম সূত্রের খবর, অসীমবাবু আলোচনায় বলেছেন, জিএসটি-র পূর্ণাঙ্গ বিরোধিতা সম্ভব নয়। তবে তার কিছু পদ্ধতিগত সমস্যা এবং রাজ্যের ভাগে করের অংশ কম পড়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলাই যায়।
জিএসটি নিয়ে একই রকম ধন্দে তৃণমূলও। দলীয় সূত্রে খবর, সুব্রতবাবু এ দিনের বৈঠকে বলেন, অর্থমন্ত্রীদের কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে অমিতবাবু গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফিরহাদ বিধায়কদের জানান, সোমবার আলোচনা শুরুর আগে অর্থমন্ত্রী নিশ্চয়ই এই বিষয়ে তাঁদের অবহিত করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy