—প্রতীকী ছবি।
স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শান্তা দত্ত দে-কে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শুক্রবার ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অধ্যাপক হিসেবে শান্তার অবসর নেওয়ার দিন ছিল। তাই এর পরেও তিনি অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে তিনি থাকতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ওই পদে না থাকলে সেই দায়িত্ব কে নেবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সহ-উপাচার্য (অর্থ), দু’টি পদই ফাঁকা।
শান্তা অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদে থাকছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, “আচার্য আমায় নিয়োগের সময় লিখিত নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত আমি কাজ চালাব। অবসর পর্যন্ত কাজ চালানোর উল্লেখ নেই। তা ছাড়া, ২০১৯ সালে রাজ্য সরকার আইন সংশোধন করে ঠিক করেছিল যে, উপাচার্যেরা ৭০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন। তাই আমি থাকছি।”
শান্তা এই দাবি করলেও ভিন্ন মত পোষণ করছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্তারা। তাঁদের ব্যাখ্যা, ২০১৯ সালের সংশোধিত আইন অনুযায়ী, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ও আচার্য রাজ্যপাল যৌথ ভাবে দায়িত্ব দিলে তবেই কোনও অধ্যাপক ৬৫ বছর বয়সের পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে কাজ চালাতে পারবেন। তা ছাড়া, এই বিষয়টি সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে। বরং এই সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপরে নির্ভরশীল। যাকে ‘কেস টু কেস বেসিস’ বলা যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশের পরিস্থিতি আদৌ তৈরিই হয়নি। প্রসঙ্গত, উপাচার্য বাছতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশের পরে ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও রাজ্যের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি সম্পূর্ণ হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy