প্রতীকী ছবি।
দন্ত চিকিৎসকদের চাকরির অধিকার সুনিশ্চিত করার প্রশ্নে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের (স্যাট) নির্দেশ মানবে কি স্বাস্থ্যভবন? আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন ডেন্টাল এডুকেশন সার্ভিসে পদোন্নতির প্রত্যাশীরা।
সম্প্রতি স্যাট রায় দিয়েছে, দশ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। দন্ত চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, মামলা করার পরে ১২ জন মামলাকারীকে প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করা হয়েছে। যা ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ বলে দাবি ওই চিকিৎসকদের। এই আবহে স্যাটের রায় রাজ্য কতখানি মানবে তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।
২০০৯ সালের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডেন্টাল সার্ভিস আইন’ অনুযায়ী, ডেন্টাল হেলথ সার্ভিস কোটায় যে সকল দন্ত চিকিৎসকের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে, তাঁদের বিভাগীয় পদোন্নতি হিসেবে ডেন্টাল এডুকেশন সার্ভিসে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রথমে ওই আইনের মেয়াদ ছিল ২০১৪ সাল পর্যন্ত। ২০১৫ সালে একটি সংশোধনী এনে তা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। বিভাগীয় পদোন্নতির প্রত্যাশী চিকিৎসকদের অভিযোগ, বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন ডেন্টাল কলেজে ৬৮টি শিক্ষক পদ খালি রয়েছে। বিভাগীয় পদোন্নতির প্রত্যাশীদের সংখ্যা ৬৫ জন। তবুও তাঁদের সুযোগ না দিয়ে ‘বহিরাগত’দের শিক্ষক পদে নেওয়া হচ্ছে।
বেঙ্গল ডেন্টাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত বেরা জানান, গত বছর এই পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। চলতি বছরে ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, ৫১ জনের মধ্যে এ রাজ্যের বাসিন্দা মাত্র ১০ জন। বাকিরা সকলেই ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দা। এর পরেই স্যাটের দ্বারস্থ হন ১২ জন চিকিৎসক। অমিতবাবু বলেন, ‘‘গ্রামীণ এলাকায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকার পরেও ফের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। রাজ্য স্যাটের রায় না মানলে উচ্চতর আদালতে যাব। এই বঞ্চনা মেনে নেব না।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্যাটের রায়ের প্রেক্ষিতে কী করা হবে, তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মামলার আবেদকারীদের বোঝা উচিত, বাইরের যাঁরা আছেন তাঁদেরও সুযোগ দিতে হবে। তা ছাড়া আবেদনকারীরাও তো বাইরের প্রার্থী হিসেবে আবেদন করতে পারেন। সকলে যাতে সুযোগ পান সেটাই লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy