শিশুকে নিয়ে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এলেন বাবা-মা। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিল সদ্যোজাত শিশুকন্যাটি। নল দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছিল। অক্সিজেন দিতে হয়েছিল জন্মের পরে। এখনও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে। তার বাবা সাগর বিশ্বাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার চিকিৎসকেরা আমাকে ডেকে স্পষ্ট বলে দেন, বাচ্চাকে এখান থেকে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র ভর্তি করুন। আমরা নিজেরাই এখানে সুরক্ষিত নই। কী ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেব! আমাকে বন্ডে সই করিয়ে বাচ্চাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’
বৃহস্পতিবার রাতে সাগর এবং তাঁর স্ত্রী পিয়ালি শিশুকন্যাকে নিয়ে এসে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। পিয়ালি বলেন, ‘‘হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ভাল বলেই এখানে ভর্তি করলাম। কিন্তু মেয়ের অবস্থা ভাল নয়।’’
সাগরের বাড়ি গোবরডাঙা থানার মছলন্দপুরে উলুডাঙা এলাকায়। ২২ জুলাই সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পিয়ালিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি খারাপ থাকায় দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়। জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ।
হাবড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির ওজন মাত্র ১ কেজি ১০০ গ্রাম। তাকে আরজি কর হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখলেও হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নেই। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চেষ্টা করছেন, তবে এখনও আশার আলো নেই। পিয়ালি বলেন, ‘‘চোখের সামনে হাসপাতালে ভাঙচুর হল বুধবার রাতে। আতঙ্কে সারা রাত ঘুমোতে পারিনি। ইট-পাটকেলের আওয়াজ কানে এসেছে। হামলাকারীরা বলছিল, বাচ্চাদেরও ছাড়া হবে না। সকলকে মারা হবে।’’ সাগর বলেন, ‘‘বাচ্চা আর তার মা না হয় ওয়ার্ডে ছিল, আমি তো বাইরে ছিলাম। আমাদের জীবন চলে যেতে পারত। নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। প্রসূতি ওয়ার্ডে, শিশুদের ওয়ার্ডে চিকিৎসক নেই। মঙ্গলবার সন্তান প্রসব করেছেন এক মহিলা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy