আগামী সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলে চলতি মাসের শেষে স্কুলে বেতন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে বলে মনে করছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সাধারণত প্রধান শিক্ষকেরা বেতন পোর্টাল জেলা স্কুল পরিদর্শককে জমা দেওয়ার পরে তিনি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে তা কোষাগারে পাঠিয়ে দেন। ওই তারিখ ধরলে হাতে আর এক সপ্তাহ সময়। কিন্তু কোন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাবেন এবং কাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে শিক্ষা দফতরের কোনও বিজ্ঞপ্তিই স্কুলে পৌঁছয়নি।
বাঙুরের নারায়ণ দাস বাঙুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আমরা জানি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ কিছু আসেনি। তাই বোঝা যাচ্ছে না যে, কাদের নাম থাকবে এবং কাদের নাম বাদ যাবে।” শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন যে, ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ তালিকা তো সরকারের কাছে। সেই তালিকা অনুযায়ী নাম পাঠিয়ে বেতন চালু রাখতে অথবা বন্ধ করতে বলতে হবে শিক্ষা দফতরকে। স্পষ্ট নির্দেশ না পেলে প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে সেই কাজ করা সম্ভব নয়।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রের মতে, “কারা বেতন পাবেন আর কারা পাবেন না, তা সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের নির্দেশের পরে পরিষ্কার। তবু শিক্ষা দফতরের পাঠানো তালিকার জন্য অপেক্ষা করছি। আগ বাড়িয়ে স্যালারি পোর্টালে কোনও কাজ করতে গেলে প্রধান শিক্ষকেরা দায়বদ্ধ হয়ে যেতে পারেন।”
স্কুল সার্ভিস কমিশন ইতিমধ্যেই অযোগ্যদের তালিকা শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের গোড়ায় তা প্রকাশিত হতে পারে। তার পরেই ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’-দের তালিকা জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে যাবে। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের অনেকে মনে করছেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্কুলগুলিতেও ওই তালিকা এবং বেতন সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছে যেতে পারে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)