—প্রতীকী ছবি।
বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি বাছতে কার্যত ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থা পদ্ম শিবিরের। সৌজন্যে সঙ্ঘ ও দলের ‘ইচ্ছে’র পার্থক্য। এখন রফা-সূত্রের খোঁজে দল।
বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। বিজেপির এক ব্যক্তি এক পদ রীতি অনুযায়ী সুকান্তকে ছাড়তেই হবে রাজ্য সভাপতির পদ। সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, কোনও ‘লড়াকু’ মহিলা মুখকেই করা হোক রাজ্য সভাপতি।
তবে সঙ্ঘ চাইছে, তাদের লোককেই ওই পদে দেখতে। অতীতেও রাজ্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে সঙ্ঘের লোককেই দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেশব ভবনে তারা এই বিষয়ে বৈঠকও করেছে। তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে দিলীপ ঘোষের নাম। এ ছাড়াও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা শচীন সিংহের নাম উঠে এসেছে ওই বৈঠক থেকে। তবে সংগঠনের মধ্যে থেকে পদ সামলেছেন, এমন ব্যক্তিকেই সভাপতির পদ এত কাল দিয়ে এসেছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, চূড়ান্ত বিবেচনার জন্য আপাতত তিনটি নাম ঘোরাফেরা করছে। আলোচনায় রয়েছে পুরুলিয়া থেকে টানা দু’বার সাংসদ হওয়া জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর নাম। তিনি বর্তমানে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার রানাঘাট আসন থেকে দ্বিতীয় বার সংসদে গিয়েছেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে তাঁর ব্যবধান সর্বোচ্চ। সঙ্ঘের প্রতি বিশ্বস্ত, পুরনো, নির্ভরযোগ্য ও মহিলা মুখ হিসেবে নাম রয়েছে দেবশ্রী চৌধুরীরও। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিলীপ-জমানায় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের মহিলা মুখের চাহিদা এবং সঙ্ঘের নিজের লোককে পদে বসানোর ইচ্ছে— এই দু’য়ের মধ্যে সেতু বন্ধন করতে পারেন দেবশ্রীই। বর্তমানে তিনি সাংসদ না থাকায় সংগঠনে বাড়তি সময় দিতে পারবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। তবে বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘এটাও ঠিক, বিজেপিতে যে নাম নিয়ে সব চেয়ে বেশি আলোচনা হয়, তাঁর পদ পাওয়ার সম্ভাবনা সব চেয়ে ক্ষীণ হয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy