বোমাবাজি: ভাঙড়ের পদ্মপুকুর মোড়ে ফাটছে বোমা। ছবি: সামসুল হুদা।
পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন ভাঙড়ের পদ্মপুকুর গ্রামে দলীয় কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করতে গিয়ে শুক্রবার ঘেরাও হয়েছিলেন স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা। ওই বাড়িতে হামলারও অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ভাঙড়ে মিছিল করে তৃণমূল। এ বার সেই মিছিল থেকে বোমাবাজি এবং ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠল। বোমাবাজিতে কেউ হতাহত হননি। তবে, ইটের আঘাতে খামারআইট গ্রামের সাইফুল মোল্লা নামে এক কিশোরের মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ মানেননি।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এলাকায় একটি মিছিল থেকে বোমাবাজি হয় বলে খবর পেয়েছি। খামারআইট গ্রামের এক কিশোর জখম হয়েছে বলেও শুনেছি। কিন্তু কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
এ দিন মিছিল শুরু হয় ভাঙড়ের পোলেরহাটের শ্যামনগর মোড় থেকে। শেষ হয় পদ্মপুকুর মোড়ে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন, ওহিদুল ইসলামরা। মিছিলের শেষ দিকে যোগ দেন আর এক তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। এই নান্নু এবং কাইজারই শুক্রবার পদ্মপুকুরে বৈঠক করতে গিয়ে ঘেরাও হয়েছিলেন। মিছিল থেকে বোমাবাজি এবং ইট ছোড়া হচ্ছে, এই খবর চাউর হতেই খামারআইট, মাছিভাঙা-সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং আন্দোলন-কারীরা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। মিছিল পিছু হটে। উত্তেজনার খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী সেখানে গিয়ে রুট মার্চ করে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে শেখ আজিম বলেন, ‘‘মিছিলের নামে তৃণমূল বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে বোমাবাজি করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে চাইছে। চক্রান্ত করে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা কাইজারের দাবি, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ-মিছিল হচ্ছিল। মিছিল থেকে বোমাবাজি হয়নি। পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy