বাড়ির সামনে সরকারি জায়গা জবরদখল করে গড়ে উঠেছিল একাধিক দোকান। সেই ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভেঙে ফেলার দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন এগরা থানার কুদি বাজারের বাসিন্দা অজিত মণ্ডল। হাই কোর্টের নির্দেশেই বুলডোজ়ার নিয়ে সেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে যান পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। কিন্তু জায়গা মাপজোক করতে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলির পাশাপাশি খোদ অজিতের বাড়ির একটা অংশও সরকারি জায়গার উপর তৈরি হয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী দোকানঘরগুলিকে উচ্ছেদের পাশাপাশি অজিতের বাড়ির একটি অংশও ভেঙে দিল পূর্ত দফতর।
প্রশাসনির সূত্রে খবর, কুদি বাজার লাগোয়া পূর্ত দফতরের জায়গার পাশেই অজিতের দোতলা পাকা বাড়ি। সেই বাড়ির সামনে সরকারি জায়গা দখল করে একাধিক দোকান গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অজিত। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে অবশেষে মামলাকারীর আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁর বাড়ির সামনের সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ পেয়েই বুলডোজ়ার নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল এগরা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
সেই সময়েই পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা দেখেন, অজিতের বাড়ির একটা অংশও সরকারি জায়গার উপর নির্মিত। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানান, আদালতের নির্দেশমতো পূর্ত দফতরের সমস্ত জায়গা খালি করতে হবে। সেইমতো অবৈধ দোকানগুলিকে ভেঙে ফেলার পাশাপাশি অজিতের বাড়ির দোতলার ব্যালকনি ও ছাদের কিছুটা জায়গা-সহ প্রায় ৬০ বর্গফুট অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
অজিত বলেন, ‘‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। আদালতের নির্দেশে আমার বাড়ির সামনের সরকারি জায়গা খালি করতে এসেছিলেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা। কিন্তু তাঁরা মাপজোক করে জানতে পারেন, আমার বাড়ির সামনের কিছু অংশও পূর্ত দফতরের জায়গার মধ্যে পড়ে গিয়েছে। আমার বাড়ি ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে তৈরি করেছি। এই বাড়ির কিছু অংশ যে সরকারি জায়গার উপর তৈরি হয়েছে, তা আমার জানা ছিল না। তবে প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমার কিছু বলার নেই। আইন সকলের জন্যই সমান। তাই আমার বাড়ির অবৈধ অংশও ভাঙা পড়লেও আমি কোনও প্রতিবাদ করিনি।”