গুরুতর অভিযোগ ফাইল চিত্র
করোনার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের তদন্তে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আড়াল করা হচ্ছে বলে খাস আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। রবিবার এই মামলায় দেবাঞ্জন দেব-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে তোলা হয়। বিচারক ২৫ অগস্ট পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেবাঞ্জনের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘একই মামলায় একই অপরাধে পুলিশ দ্বিচারিতা করছে। তারা একই অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছে, আবার প্রভাবশালী হওয়ায় আড়াল করছে কিছু লোককে।’’
অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, কসবার শিবিরে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে দেবাঞ্জনকে নিয়ে এক শ্রমিক-নেতা সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি স্বাস্থ্য শিবির করেছিলেন। সোনারপুর অঞ্চলের অন্তত ৫০০ বাসিন্দাকে কসবার শিবিরে নিয়ে এসে ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন ওই নেতা। পরে প্রশাসন সেই সব ভ্যাকসিন-গ্রহীতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার মামলায় সিটি কলেজে দেবাঞ্জনের সঙ্গে শিবির করার অভিযোগে ইন্দ্রজিৎ সাউ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ওই একই অভিযোগে সেই শ্রমিক-নেতাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এই সব ক্ষেত্রে প্রভাবশালী তত্ত্ব সামনে রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।
পুলিশি সূত্রের খবর, সোনারপুরের ওই শ্রমিক-নেতার মাধ্যমেই এলাকার বিধায়ক ও জেলা স্তরের অন্য এক শ্রমিক-নেতা স্টেশন-চত্বরে দেবাঞ্জনের একটি শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। ওই শিবিরে যোগ দেওয়া নেতাদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সোনারপুরের যে-সব বাসিন্দা শ্রমিক-নেতার সূত্রে কসবায় দেবাঞ্জনের শিবিরে টিকা নিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁদেরও।
সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল এ দিন আদালতে বলেন, ‘‘দেবাঞ্জনের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আমানতের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেই জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।’’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে দেবাঞ্জনদের পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy