আর রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা নিয়ে কথা বলতে চাই না । তবে চাকরি যে টাকা দিয়ে হয় না তা অভিযোগকারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন।”
প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তিনি অবশ্য তা অস্বীকার করে দাবি করেছেন, দলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত নদিয়ার পলাশিপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। তার পর তিনি পাশের কেন্দ্র তেহট্টের বিধায়ক হন। এই দুই বিধানসভা এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা রাজ্য তৃণমূলের শীর্ষ স্তরে সেই অভিযোগ জানিয়েছেন। এঁদের এক জন, নাজিরপুরের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, “আমার ছেলের চাকরির জন্য বিধায়কের কথা মতো তাঁর ঘনিষ্ঠ এক জনের হাতে দশ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। চাকরিও হয়নি, এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।” পলাশিপাড়ার বকুলতলা এলাকার এক তৃণমূল নেতার দাবি, “প্রাথমিকে চাকরির জন্য বিভিন্ন নেতাকর্মী মারফত এলাকার তৎকালীন বিধায়ক তাপস সাহার কাছে প্রচুর টাকা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু চাকরি দূরের কথা, সেই টাকাও ফেরত দিতে চাইছেন না।” তেহট্টের এক পেট্রল পাম্পের মালিকের অভিযোগ, “আমার পেট্রল পাম্পে এসে উনি গাড়ির তেল নিতেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে মেয়ের চাকরি করে দিতে বিধায়ককে আট লক্ষ টাকা দিই। ফেরত পাইনি।”
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “চাকরি আমি কাউকে দিতে পারি না। টাকা নেওয়ার প্রশ্নই নেই। দলেরই একটি অংশ আমাকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করেছে। টিনা সাহা ভৌমিক, দিলীপ পোদ্দার, শঙ্কর ঘোষ চৌধুরীরা এই চক্রান্তে যুক্ত।”
বারবার চেষ্টা করেও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা সাহা ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তেহট্ট ১ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ পোদ্দার বলেন, “বিধায়ক যা বলেছেন তা ঠিক নয়।” পলাশিপাড়ার তৃণমূল নেতা শঙ্কর ঘোষ চৌধুরী বলেন, “ও যা বলছে সব মিথ্যা।”
তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “যাঁরা অভিযোগ আনছেন তাঁদের প্রমাণ করতে হবে। বিধায়ক এবং অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলব। তার পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব নেবেন।” আর রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য বলেন, “কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তা নিয়ে কথা বলতে চাই না । তবে চাকরি যে টাকা দিয়ে হয় না তা অভিযোগকারীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy