প্রতীকী ছবি।
তৃণমূল নেতারা যে যে জায়গায় নিয়ে যেতে বলেছেন, কেন্দ্রীয় পরিদর্শকদের বিডিও সেই সেই জায়গাতেই নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায়। বিডিও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বুধবার পাথরপ্রতিমার জি-প্লট এলাকায় কেন্দ্রীয় পরিদর্শকেরা বিডিও রথীনচন্দ্র দে-র কাছে এক সময়ে জানতে চান, কেন নির্দিষ্ট কিছু জায়গা দেখানো হচ্ছে? যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, কেন সেই সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না? বিডিও বলেন, ‘‘ঠিক আছে স্যর, আপনার কথা বুঝতে পেরেছি।’’ পরে সাংবাদিকদের তিনি শুধু বলেন, ‘‘আপনারা যা দেখেছেন, তাই। এর বেশি কিছু আমি আর বলব না।’’ কিছু জায়গায় গ্রামবাসী পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিডিও বাধা দেন বলে অভিযোগ। তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইল-বার্তারও জবাব দেননি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে বিডিও ঘুরেছেন। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাথরপ্রতিমা ব্লক তৃণমূল সভাপতি হিমাংশু রাউতের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় দল দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় তদন্ত করে দেখেছে। বিরোধীরা অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। মিথ্যা হওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছে।’’
আবার, একশো দিনের কাজে ছোট জলাশয় ঠিক মতো খোঁড়া হয়েছে কি না, তা মেপে দেখতে যাওয়া পরিদর্শকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ দিন কেঁদে ফেলেন পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির বালিতোড়া পঞ্চায়েতের সুনুড়ি গ্রামের কিছু শ্রমিক। মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহেও ফের যান কেন্দ্রীয় দলের দুই সদস্য। প্রশাসনের দাবি, শুক্রবার প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন। এর পরে বিভিন্ন গ্রামে যাওয়া কথা।
কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি হুগলির গোঘাট-১ ব্লকের রঘুবাটি পঞ্চায়েতে আবাস যোজনার পাঁচটি বাড়ি দেখেন। কোনওটির শৌচাগার নেই, কোনওটির রং-প্লাস্টার হয়নি। সেখানে পঞ্চায়েত আধিকারিকেরা উপভোক্তাদের ডেকে ‘ক্লাস’ নিলেও একশো দিনের কাজের বেতন কত ও কী ভাবে পান, সেই প্রশ্নে দুই গ্রামবাসী উত্তর দেন, “ও সব পঞ্চায়েতই জানে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy