অন্ডাল থেকে দিল্লিগামী বিমান পরিষেবায় আপাতত ভাল সাড়া মিলছে বলে বিএপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন অন্ডাল থেকে দিল্লি যাচ্ছে বিমানটি। প্রথম সপ্তাহের তিন দিনই অন্ডালের জন্য বরাদ্দ সব আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম ও শেষ দিনের আসনও বুকিং হয়ে গিয়েছে। তবে মাঝে বুধবারের কিছু আসন রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফাঁকা রয়েছে। তবে তা-ও ভর্তি হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্ডাল থেকে দিল্লিগামী নিয়মিত বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে ২১ ডিসেম্বর থেকে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ১২২ আসনের বিমান প্রতি সপ্তাহের সোম, বুধ ও শুক্রবার কলকাতা থেকে অন্ডাল হয়ে দিল্লি যাচ্ছে এবং একই রুটে ফিরে আসছে। কলকাতা থেকে সকাল সাড়ে ৮ টায় ছেড়ে সকাল ৯টায় বিমানটি নামছে অন্ডালে। এরপর সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সেটি দিল্লি উড়ে যাচ্ছে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেটি দিল্লি থেকে ছেড়ে দুপুর ২টো ৪০ নাগাদ নামছে অন্ডালে। ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ আবার সেটি কলকাতার রওনা দিচ্ছে।
বিএপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম সপ্তাহে তিন দিন অন্ডালের জন্য নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার সবগুলিই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। আজ সোমবার এই পরিষেবা পা দিচ্ছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। ৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমান পরিষেবার সূচনা করেন। এর আগে মে মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী অ্যালায়েন্স এয়ারের ৪৮ আসনের বিমান দিয়ে কলকাতা-অন্ডাল রুট চালু হয়। গড়ে ১০-১২ জনের বেশি যাত্রী না হওয়ায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে সেই পরিষেবা। সেই তুলনায় আপাতত দিল্লিগামী বিমানের হাল অনেকটাই ভালো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে অন্ডাল মাত্র আধঘন্টার পথ। এই সামান্য দূরত্ব যেতে বিমান ব্যবহার করার মতো মানুষজন তেমন নেই। কারণ, দুর্গাপুর থেকে রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো দ্রুতগামী ট্রেন রয়েছে। রয়েছে নিয়মিত ভলভো বাস পরিষেবা। তা ছাড়া কলকাতা থেকে বিমানটি অন্ডালে আসত সাধারণত বিকাল ৫টা নাগাদ। সেটি আবার ফিরে যেত ঘন্টাখানেকের মধ্যে। দমদমে নেমে আবার দিল্লির জন্য অন্য বিমান ধরতে হত। তা ছাড়া সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই সেটি নির্দিষ্ট সময়ে চলত না। সব মিলিয়ে যাত্রীদের ভরসা হয়ে উঠতে পারেনি সেটি। তবে দিল্লিগামী বিমান অন্ডাল থেকে সরাসরি দিল্লি যাচ্ছে। দুপুর ১২টা নাগাদ যাত্রীরা নেমে পড়ছেন দিল্লিতে। দমদম যাওয়ার হ্যাপা নেই।
দিল্লিগামী প্রথম বিমানের যাত্রী হয়েছিলেন চিকিৎসক সত্যজিৎ বসু। তিনি জানান, নানা কাজে শিল্পাঞ্চলের অনেককেই নিয়মিত দিল্লি যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি যাওয়ার বিমান চালু হওয়ায় আমার যাতায়াতের অনেক সময় বেঁচে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, এবার ব্যাঙ্গালুরুগামী বিমান পরিষেবা চালু হোক। তাহলে শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি দক্ষিণ ভারতের যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
‘দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’ এর সাধারণ সম্পাদক হরপ্রসাদ ঘোষাল বলেন, ‘‘দিল্লির পাশাপাশি চেন্নাইয়ের বিমান চালু হলে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে দক্ষিণভারতগামী মানুষজনের অনেক সুবিধা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy