Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
College

উচ্চশিক্ষাও ক্লাসমুখী, অনলাইনে টানাপড়েন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাস সোমবার জানান, অনুপস্থিত পড়ুয়ারাও যাতে ক্লাস নোটস পেতে পারেন, সে-দিকে নজর দেওয়া হবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৩৫
Share: Save:

স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস আজ, মঙ্গলবার শুরুর নির্দেশ থাকলেও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সব পড়ুয়া আসবেন, না অর্ধেক আসবেন— তা স্পষ্ট করা হয়নি। এই অবস্থায় কোভিড বিধি মেনেই নিজেদের মতো করে ক্লাস চালু করা হচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। শ্রেণিকক্ষে পঠনপাঠন চালু হলে অনলাইন শিক্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে কি না, প্রশ্ন উঠছে উচ্চশিক্ষাতেও। এই বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত শোনা যায়নি। টানাপড়েনের মধ্যে পরিস্থিতি বিচার করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অনলাইন চালু রেখেই শ্রেণিকক্ষে ফিরছে কিছু প্রতিষ্ঠান।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য স্যমন্তক দাস সোমবার জানান, অনুপস্থিত পড়ুয়ারাও যাতে ক্লাস নোটস পেতে পারেন, সে-দিকে নজর দেওয়া হবে। আগে থেকেই বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে স্টাডি মেটিরিয়ালস দেওয়ার ব্যবস্থা আছে যাদবপুরে। সেখানে আগেই দাবি উঠেছিল, ক্লাসে ক্যামেরা বসিয়ে ইন্টারনেটে স্ট্রিমিং করা হোক। তা হলে তার মাধ্যমে পড়ুয়াদের অনেকে বাড়ি থেকে ক্লাসের পড়া শুনতে পারবেন। তবে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই খবর। তাঁরা জানান, ভাবনাচিন্তা চলছে।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে পঠনপাঠনের পদ্ধতি এবং কোন কোন সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্লাসে আনা হবে, তা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক পার্থিব বসু জানান, ইলেকটিভ বিষয়গুলির পড়ুয়াদের দফায় দফায় ক্লাসে আনা হচ্ছে। প্র্যাক্টিক্যাল যাঁরা করবেন, তাঁরাও আসবেন। ‘কোর’ বিষয়গুলির ক্লাস আপাতত অনলাইনেই হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক সাংখ্যায়ন চৌধুরী জানান, তাঁদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুই স্তরেই ক্লাস হবে। দু’টি শ্রেণিকক্ষ সম্পূর্ণ আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনুপস্থিত পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেই বিষয়ে তাঁরা এ দিন পর্যন্ত কোনও নির্দেশ পাননি। সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হোক। তার পরে পরিস্থিতি বিচার করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’

রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই দু’টি স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে। একটি ক্লাসের ৫০% পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এসে কোভিড বিধি মেনে ক্লাস করবেন। বাকি ৫০% পড়ুয়া বাড়িতে বসেই স্মার্ট ক্লাসরুম ব্যবস্থায় পড়াশোনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৬১১টি বিএড কলেজ। উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক কলেজেরই স্মার্ট ক্লাসরুম আছে। তাই ‘ব্লেন্ডেড মোড’ বা মিশ্র পদ্ধতিতে পড়াশোনার সুযোগ থাকবে। কয়েকটি বিএড কলেজ আছে গ্রামাঞ্চলেও। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে-সব পড়ুয়ার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ, দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেই, তাঁদের কলেজে ক্লাস করানো হোক। অন্যদের পড়ানো হোক অনলাইনে।

মৌলানা আজাদ কলেজের তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে আসতে বলা হয়েছে। যাঁরা আসতে পারবেন না, তাঁদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত। ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি দেখা যায় যে, ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই আসতে পারছেন না, তা হলে প্রয়োজনে রবিবারেও তাঁদের জন্য অনলাইন ক্লাস নেওয়া হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy