প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরের গোড়ায় আয়কর-অভিযানের পরে থমকে গিয়েছিল কারবার। শনিবার সিবিআই অভিযানের পরে গা-ঢাকা দিয়েছে কয়লা কারবারিদের অনেকেই— দাবি জড়িতদের একাংশের। তাঁদের আরও দাবি, আপাতত টিকে থাকাই লক্ষ্য।
কয়লা পাচার চক্রের হদিশ পেতে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ চার রাজ্যে নানা জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শ্রীপুরে বাড়িতে অভিযান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিক ধনঞ্জয়কুমার রায়ের। সম্প্রতি রাজ্যে এসে যাঁর নাম করে অবৈধ কয়লা কারবারের অভিযোগ তুলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সেই লালার (অনুপকুমার মাজি) গ্রাম পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার ভামুরিয়াতেও অভিযান চলে।
কয়লার চোরা কারবারে জড়িত কয়েক জনের দাবি, ২০০৯-এ জামুড়িয়ার সাতগ্রামে আটটি অবৈধ কুয়ো খাদানে অগ্নিকাণ্ডের পরে মাস তিনেক ও ২০১১-য় রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদলের পরে বেশ কিছু দিন কারবারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এক কারবারির কথায়, ‘‘আয়কর হানার পরে গুঞ্জন ছিল, কারবারের মাথায় অন্য কেউ আসতে পারে। কিন্তু শনিবারের পরে মনে হচ্ছে, এখনই ফের কারবার চালু করা যাবে না। লাভ-ক্ষতির অঙ্ক পরে, আপাতত টিকে থাকাই লক্ষ্য।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত আধিকারিক ধনঞ্জয়বাবুর পরিবার আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায় রওনা দিয়েছেন। তাঁর সহকর্মীরা কেউ সিবিআই-হানা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। লালার গ্রাম ভামুরিয়ায় শনিবার অভিযানের সময়ে লোকজন বাড়ি থেকে বেরোননি। রবিবার অবশ্য অনেককে বেরোতে দেখা যায়। তবে কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। গ্রামে লালার অফিসে এ দিন কারও দেখা মেলেনি।
অভিযানের জন্য অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় অবৈধ কয়লা কারবারে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগের অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘আমাদের দল কখনও অবৈধ কারবারিদের প্রশ্রয় দেয় না। শনিবার অভিযানে নজরে ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইসিএলের আধিকারিকেরাই।’’ ইসিএলের কর্তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy