বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবার মালিককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা পাচারকাণ্ডের তল্লাশিতে বালিগঞ্জে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবার মালিককে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দিল্লির ইডি অফিসে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে বেশ কিছু নথিপত্র।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার ওই ধাবার মালিকের নাম মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ওরফে জিটি ভাই। তিনি কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ, তাঁর মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা সরানোর চেষ্টা করতেন কোনও এক ‘প্রভাবশালী’ রাজনীতিক।
বুধবার দিল্লির ইডি অফিসে মনজিৎকে নিয়ে যেতে হবে তাঁর পারিবারিক ব্যবসার কাগজপত্র এবং ব্যাঙ্কের নথি।
গত বুধবার বালিগঞ্জের একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বান্ডিল বান্ডিল নগদ টাকা উদ্ধার করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া মোট নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪০ লক্ষ। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তের সূত্রেই এই বেসরকারি সংস্থাটির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি ইডির। ওই সংস্থার মালিক বিক্রম সাকারিয়াকেও ইতিমধ্যে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
ইডি জানায়, তাদের কাছে খবর ছিল, কোনও এক ‘প্রভাবশালী’ রাজনীতিক কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয়ের চেষ্টা করছেন। সেই মতো পাতা হয়েছিল ‘ফাঁদ’। তদন্তের সূত্রে উঠে এসেছে মনজিতের নাম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, এক মন্ত্রীর ‘বেআইনি’ টাকাও ‘হ্যান্ডল’ করতেন জিটি ভাই।
ইডি সূত্রে খবর, সালাসার নামে একটি গেস্ট হাউস ৯ কোটি টাকা দিয়ে কেনাবেচা চলছিল বালিগঞ্জের ওই বেসরকারি সংস্থার দফতরে। যদিও ওই সম্পত্তির আসল দাম ১২ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তিপত্রে দেখানো হয়েছিল ৩ কোটি। ইডির দাবি, কয়লা পাচারের টাকা দিয়েই ওই সম্পত্তি কেনা হচ্ছিল। আর এ ভাবে আসলে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছিল। সম্পত্তির দামের ৯ কোটি টাকার মধ্যে ১.৪ কোটি টাকা নগদে দেওয়া হয়েছিল। সে সময়ই ফাঁদ পেতে তল্লাশি শুরু করে ইডি। উদ্ধার করে টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy