মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
কথা দিয়েছিলেন শিলিগুড়ির উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে। মাস ঘুরতেই জানিয়ে দিলেন রাসমেলায় যোগ দেবেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরেই মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ জানান, আগামী ১৩ নভেম্বর কোচবিহারে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিনয়কৃষ্ণ জানান, ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী রাসমেলায় যাবেন। পরের দিন, ১৪ নভেম্বর কোচবিহার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার জেলা প্রশাসন ও কর্তাদের মধ্যেও সেই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। বিনয়কৃষ্ণ বলেন, “আপাতত এটটুকুই আমাদের জানানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
সম্প্রতি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে রাসমেলায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, উদ্বোধনে না হলেও রাসমেলার মধ্যে তিনি কোচবিহারে পৌঁছবেন। সেই মতোই এ বারে জেলায় ফিরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে পুলিশ-প্রশসান ও পুরসভা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্যেই এ বারে রাসমেলার নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাসমেলার মঞ্চ সে কথা ভেবেই তৈরি করা হবে। দলের নেতারা জানাচ্ছেন, কোচবিহারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর টান রয়েছে বরাবর। এর আগে তিনি মদনমোহন মন্দিরেও গিয়েছিলেন। সব ভেবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। তা নিয়ে দলের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে সফরে বরাবর বড় সভায় যোগ দিয়েছেন। এ বারেই তিনি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করবেন। দলীয় সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি তৃণমূলের হাত থেকে একাধিক আসন ছিনিয়ে নেয়। তার মধ্যে রয়েছে কোচবিহার। তার পর থেকে জেলায় ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে তৃণমূল। বর্তমানে ফের সংগঠিত হয়ে নিজেদের এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে তৃণমূল। দলের সংগঠন শক্তিশালী করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ময়দানে নেমেছেন। এই সময়ে তিনি বড় কোনও সভা করতে চাইছেন না। বরং বাছাই করা কর্মীদের নিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মিটিং করেই বার্তা দিতে চান তিনি। এ ছাড়া রাসমেলার মঞ্চে তিনি যখন যোগ দেবেন, সেই সময় সাধারণ মানুষদের সামনেই বক্তব্য রাখবেন তিনি। সেক্ষেত্রে আলাদা করে বড় সভা করার কোনও প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও বিজেপি’র দাবি, এই সময় বড় সভা করলে লোক পাবেন না মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই ইন্ডোরে মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy