—ফাইল চিত্র।
রেলশহরে দলের প্রথম জয় এসেছে তাঁর হাত ধরে। খড়্গপুরের সেই নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রদীপ মানছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। উনি আরও ভালভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দিদির সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি খুব খুশি।’’
উপ-নির্বাচনে তাৎপর্যপূর্ণ জয়ের পরদিনই খড়্গপুরে এসে শহরবাসীকে কুর্নিশ করে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। খড়্গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে আগামী ৯ ডিসেম্বর তিনি নিজে শহরে আসবেন বলে জানিয়েছেন মমতাও। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরনোর সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘খড়্গপুরে ধন্যবাদ জানানোর কর্মসূচি করব। আমি চেষ্টা করছি ৯ তারিখই এই কর্মসূচি করার।’’ মুখ্যমন্ত্রী যখন এ কথা বলছিলেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন খড়্গপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক প্রদীপ। প্রদীপ বলেন, ‘‘৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী খড়্গপুরে আসছেন। সভা কোথায় হবে এক- দু’দিনের মধ্যেই তা ঠিক হবে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, রেলশহরে এসে কিছু পরিষেবা প্রদান করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, মঙ্গলবার বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন প্রদীপ। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সোমবার সকালে কালীঘাটে যান প্রদীপ। পরে মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপকে তাঁর গাড়িতে তুলে পৌঁছন বিধানসভায়। প্রদীপের সঙ্গে দলের অন্য বিধায়কদের পরিচয়ও করিয়ে দেন মমতা। প্রদীপ বলছেন, ‘‘দিদি নিজেই বললেন, তুই আমার গাড়িতে বোস। বিধানসভায় যাব। বিধানসভায় নিয়ে গিয়ে দলের বিধায়কদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। আমি আপ্লুত।’’
খড়্গপুরের লড়াই এ বার কঠিন ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে জিতেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বিধায়ক শহরের ‘চাচা’ জ্ঞানসিংহ সোহন পালকে। এ বার লোকসভায় জিতে মেদিনীপুরের সাংসদ হয়েছেন দিলীপ। লোকসভার নিরিখে খড়্গপুরে বিজেপির থেকে ৪৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কঠিন লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছিলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারকে। উন্নয়নকে সামনে রেখেই ভোটে লড়েছিল তৃণমূল। বড় ব্যবধানেই জয় এসেছে। দিলীপ-অনুগামী বিজেপি প্রার্থী প্রেমচন্দ ঝা-কে ২০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন প্রদীপ।
ইতিমধ্যে খড়্গপুরে তৃণমূলের বিজয়োৎসব শুরু হয়েছে। প্রদীপ বলছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত, খড়্গপুরের মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy