মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
চন্দ্রযান-৩ এর সফল প্রকল্পে শামিল বাঙালি বিজ্ঞানীদের সংর্বধনা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদতে বাংলার ভূমিপুত্র, এমন যে বিজ্ঞানীরা ওই প্রকল্পের অংশ, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি পাঠিয়ে কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন তিনি। সেই সঙ্গেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র প্রধান পি এস সোমনাথকেও। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ভারতের ‘বিক্রম’ পৌঁছে দেওয়ার অভিযানের জন্য ইসরো’কেও সংবর্ধিত করতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কবে ওই সংবর্ধনার আয়োজন হবে বা কোথায় হবে, সে সব অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, ২১ জন বাঙালি বিজ্ঞানীকে শুক্রবার পর্যন্ত আলাদা করে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মেধা ও অধ্যবসায়ের জোরে তাঁরা যে দেশকে গর্বিত করেছেন, তার জন্য বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য বিধানসভাও ইতিমধ্যে প্রস্তাব নিয়ে ঠিক করেছে, ইসরো’কে অভিনন্দন জানিয়ে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হবে। রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাখ্যা, লোকসভা নির্বাচনের আগে চন্দ্র অভিযানের সাফল্যকে নিজেদের অনুকূলে ব্যবহার করতে সক্রিয় নরেন্দ্র মোদী সরকার। সাফল্য এবং আবেগের প্রশ্নে কেন্দ্রের কাছে ‘পিছিয়ে’ থাকতে চাইছে না রাজ্য সরকারও। চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পে একাধিক বঙ্গসন্তানের যোগ রাজ্যের পদক্ষেপকে ‘স্বাভাবিক’ও করে তুলেছে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য তির্যক সুরে মনে করিয়ে দিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ সফল না হওয়ায় এই মুখ্যমন্ত্রীই কটাক্ষ করতে ছাড়েননি! শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘সময়ের সঙ্গে সবই বদলে যায়! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেছেন, চন্দ্রযান-২ থেকে শিক্ষা নিয়ে ইসরো কী ভাবে এগিয়েছে এবং ইতিহাস রচনা করেছে, তা সকলেরই মনে রাখা উচিত। আমাদের চন্দ্র অভিযানকে সারা বিশ্ব যখন অভিনন্দন জানাচ্ছে, সেই সময়ে পাকিস্তানের কিছু শক্তি এবং এ দেশে তাদের সহমর্মী কারও কারও চন্দ্রযান-২-এর পরের কথাগুলো ভুলে যাওয়া উচিত নয়!’’
ইসরোকে সামনে রেখে বিধানসভার মধ্যেও এ দিন রাজনীতির চাপান-উতোরে জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। ইসরোর সাফল্যের স্বীকৃতিতে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সহাবস্থান ছিল শাসক-বিরোধীর। ঠিক ২৪ ঘণ্টা পরেই ইসরো ও বিজ্ঞান গবেষণা নিয়ে নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে সরকার পক্ষ। অধিবেশনে এ দিন জমি সংক্রান্ত একটি বিলের আলোচনা শেষে হঠাৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পুরনো একটি খবরের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘ইসরোর কর্মরতদের বেতন বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় বড় কথা বলছে, প্রধানমন্ত্রী বড় বড় বক্তৃতা করছেন। অথচ এই হচ্ছে তাঁদের ভূমিকা!’’ সেই সঙ্গেই এই সংক্রান্ত গবেষণার কাজে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কাটছাঁট হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আচমকা এই প্রসঙ্গ সামনে আসায় আপত্তি জানাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শাসক ও বিরোধী পক্ষ পরস্পরের উদ্দেশে চিৎকার শুরু করেন। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য গোড়াতেই মন্ত্রীকে বলেন, ‘‘বিষয়টি বিলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এটা বলা যাবে না।’’ বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা পরে বলেন, ‘‘যে সরকার কর্মচারীদের সামান্য মহার্ঘ ভাতা (ডি এ) দিতে পারে না, তার মন্ত্রীর মুখে আবার বড় বড় কথা!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy