Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

বানভাসি জেলাগুলিতে পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা, গেলেন হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন প্লাবিত এলাকায়

হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। বুধবার বেশ কয়েকটি বন্যা প্রভাবিত জায়গা পরিদর্শন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯
Share: Save:

নিম্নচাপের বৃষ্টি, ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত বহু এলাকা। বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খব, বুধবার হাওড়া, হুগলির কিছু এলাকায় যেতে পারেন মমতা। দুপুরে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতায় বন্যার আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। মঙ্গলবার উদয়নারায়ণপুর বিডিও অফিসে পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়, জেলাশাসক পি দীপাপপ্রিয়া, স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।

মঙ্গলবার ডিভিসি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল এক সঙ্গে ছাড়ার ফলে হাওড়ার নিম্ন দামোদর এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতায় দামোদর এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। উদয়নারায়ণপুরে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বুধবার ভোর থেকে জল বাঁধ টপকে ঢুকে পড়েছে। আমতার ভাটোরা দ্বীপ এলাকার বেশ কিছু জায়গায় মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল হু-হু করে ঢুকছে। পুজোর আগে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক দিন ধরে। তার মধ্যে মমতা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরেজমিনে বন্যাবিধ্বস্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন।

উদয়নারাণপুর, আমতা অঞ্চলের নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ‘ফ্লাড সেন্টার’গুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। ওই শিবিরগুলিতে শুকনো খাবার, শিশুদের খাবার, পানীয় জল এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি গবাদি পশুদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। চাষবাসেও বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে জেলায় জেলায়।

হুগলির আরামবাগ, গোঘাটের মতো অঞ্চলের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। খানাকুলে রূপনারায়ণ নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দিক থেকে শিলাবতী ও আরামবাগের দিক থেকে দ্বারকেশ্বর, এই দুই নদীর মিলিত জলে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত। বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। বুধবার ভোরে পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নদীর বাঁধ। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, দুর্গতদের উদ্ধারে এনডিআরএফের দু’টি দল নামানো হয়েছে। দিঘা থেকেও উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা পুলিশের টিমও দুর্গতদের উদ্ধারে যথাসম্ভব কাজ করছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee flood west bengal flood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE