মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়েছেন, যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই বিজেপির লোকজনের। পাল্টা পদ্মশিবিরের তরফে বলা হয়েছে, তৃণমূল, পুলিশ মিলে পার্কিংয়ের নামে তোলাবাজি করছে, আর মুখ্যমন্ত্রী দায় চাপাচ্ছে বিজেপির উপর।
নবান্নে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল, দখল হয়ে থাকা ফুটপাথ ‘দখলমুক্ত’ করার অভিযানের পর্যালোচনা। কিন্তু ওই বৈঠকেই ফের এক বার উঠে এল বেআইনি পার্কিংয়ের প্রসঙ্গ। উল্লেখ্য, গত সোমবারের বৈঠকেও বেআইনি পার্কিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তার বেশির ভাগটাই বিজেপির লোকের। আমাদের লোকেরাই টাকা নিয়ে ওদের হাতে তুলে দেয়।’’
পাল্টা বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, ‘‘কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যে পার্কিং রয়েছে, সেখানে রসিদ ছাড়া টাকা তোলা হচ্ছে। তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা এবং বরো চেয়ারম্যানেরা সেই টাকা নিচ্ছেন। টাকা তুলছে তৃণমূল, আর দায় চাপানো হচ্ছে আমাদের ঘাড়ে! প্রশাসনে কি বিজেপি রয়েছে?’’
পুলিশের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যেখানে যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তা ভেঙে দিতে হবে। কোনও পার্কিংকে যদি আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে সেটাও করা যেতে পারে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে। কিন্তু কোনও ভাবেই টাকা তোলার জন্য পার্কিং চালানো যাবে না।
কয়েক মাস আগে এই পার্কিং নিয়েই শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে সংঘাত বেধেছিল হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর। বৃহস্পতিবার আরও এক বার হাওড়ার কথা বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘হাওড়াতে তো দেখার কেউ নেই। তাই ওখানে যে যেমন পারছে লুট করছে।’’ নবান্নের বৈঠকে এ-ও অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাথ দখল করেও গাড়ি, মোটরসাইকেল পার্ক করা থাকছে। পুলিশকে সেই বিষয়টিও দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy