দিঘায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে সেখানে পৌঁছেই ঘুরে দেখেন মন্দিরচত্বর। মন্দিরের পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। কপ্টার থেকে দিঘায় নেমে তিনি জানান, এই মন্দিরে ‘অধ্যাত্মবাদ এবং সম্প্রীতি’-র মিলন হয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্যকাজেরও প্রশংসা করেন তিনি। বুধবার, অক্ষয়তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। মঙ্গলবার রয়েছে বিশেষ হোমযজ্ঞ। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই যজ্ঞে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড থেকে কপ্টারে চেপে দিঘার উদ্দেশে রওনা হন মমতা। যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘জগন্নাথধামে যাচ্ছি। সবাই ভাল থেকো। নিজেদের মধ্যে ঐক্য-সম্প্রীতি-শান্তি বজায় রেখো।’’ দিঘায় পৌঁছে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই মন্দিরের কারণে সেখানে পর্যটকের আনাগোনা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাঁর কথায়, ‘‘দিঘায় সমুদ্র রয়েছে। সমুদ্রে লোকজন বেড়াতে আসেন। এখানে একটা তীর্থস্থান হলে লোকজনকে আরও আকৃষ্ট করবে।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন যে, দিঘার এই জগন্নাথধাম ‘বাংলার হাজার হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্যকলা’ তুলে ধরে। এটি একটি কৃষ্টি।
মন্দির সূত্রে খবর, বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও বিভিন্ন উপচার শুরু হয়েছে কয়েক দিন আগে থেকেই। পুরীর মন্দিরের রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে শুরু হয়েছে শান্তিযজ্ঞ। রয়েছেন ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাসও। ইসকনের বিভিন্ন শাখার অন্তত ৬০ জন ভক্তও মাঙ্গলিক কাজে যোগ দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, এই আচারে যোগ দিতেই সোমবার দিঘায় পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে চারটি কুণ্ডের মাঝে মহাকুণ্ড জ্বালিয়ে চলছে যজ্ঞ। চলছে মন্ত্রোচ্চারণ। গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে জগন্নাথদেবের বসার পিঁড়ির পুজো। দুগ্ধস্নান সম্পন্ন হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং সুদর্শনের। লক্ষ্মী, বিমলা, সত্যভামা-সহ সমস্ত দেবদেবীর মূর্তিকেও দুগ্ধস্নান করানো হয়েছে। দিঘা জুড়ে মাইকে বাজছে মাঙ্গলিক সানাইয়ের সুর। মঙ্গলবার হবে মহাযজ্ঞ। ওই দিন পর্যন্ত রোজই হোমযজ্ঞ চলবে বলে মন্দির সূত্রে খবর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে মন্দিরচত্বরে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮০০ পুলিশরক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে মন্দিরচত্বরে। পাশের জেলাগুলি থেকেও আনা হচ্ছে পুলিশবাহিনী। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘার জগন্নাথ ধাম পর্যন্ত ১১৬বি জাতীয় সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই আবহে সোমবার দিঘায় পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে রাজ্যবাসীকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
- এ বার দিঘার মুকুটে নতুন পালক হিসাবে যোগ হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।
- বুধবার অক্ষয়তৃতীয়ার শুভ লগ্নে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় হোমযজ্ঞ। বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে জগন্নাথের বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। তার পর নিজহাতে মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আরতিও করেন।
-
পুরীর মন্দিরের নিমকাঠ দিঘায় আসেনি, বিতর্কে ইতি টানল ওড়িশা সরকার! ‘বদনাম কেন রটালেন?’ প্রশ্ন তুললেন মমতা
-
মন্দিরের পাশে লেখা ‘জগন্নাথ ধাম’ উধাও হয়নি, দাবি করল পুলিশ! দায়ের করা হল গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মামলা
-
মন্দিরের পাশে লেখা ‘জগন্নাথ ধাম’ উধাও! কৌতূহল দিঘায়, ছবি দিলেন শুভেন্দু, ব্যাখ্যা দিলেন অখিল এবং রাধারমণ
-
জগন্নাথধাম গায়ে লেগেছে, এত হিংসে কেন? আমরা তো পুরীতে যাই, ওড়িশা সরকারকে তোপ মমতার! আর কী বললেন?
-
দিঘায় জগন্নাথের মন্দিরে মাত্র সাড়ে ৩ দিনে ১০ লক্ষ পুণ্যার্থী! দাবি ইসকনের রাধারমণের, পুজো হচ্ছে বাংলার মডেলেই