গুরুতর আহত অবস্থায় মহিলা-সহ তিনজন হাসপাতালে ভর্তি। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। বৃহস্পতিবার বিকালে ঝামেলার সূত্রপাত। রাতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, তৃণমূলের এক পক্ষ কেশপুরের দামোদরচকের গ্রাম ঘিরে ফেলে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা মারতে শুরু করে। ওই ঘটনায় এক কিশোর-সহ দুই তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এক মহিলা-সহ তিনজন হাসপাতালে ভর্তি। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে শুক্রবারেও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। কেশপুর থানার পুলিশ ছ’জনকে আটক করেছে। খোঁজ চলছে বাকিদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে গোলমালের পর রাতে দু’পক্ষ বিবাদ-বচসায় জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় বোমাবাজি। গুরুতর আহত হন শেখ মজহ0র নামে ১৪ বছরের এক ছাত্র। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরপতর আহত হন মহম্মদ নাসির নামে এক তৃণমূলকর্মীও। তাঁকে ভর্তি করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এক মহিলা-সহ তিন জন ভর্তি রয়েছেন সেখানেই।
নিহত তৃণমূলকর্মী মহম্মদ নাসিমের পরিবার জানায়, কেশপুরের তৃণমূলনেতা উত্তম ত্রিপাঠীর অনুগামীরা বৃস্পতিবার বিকেলে তাঁদের গ্রামের এক তৃণমূলকর্মীকে মারধর করে। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। এর পর চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে বোমাবাজি চলে। নাসিমের পরিবারের দাবি, কেশপুর তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সঙ্গে উত্তমের গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। তা আগেও দলের শীর্ষনেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ নয়। এটা নিছকই পারিবারিক বিবাদ। যদিও তিনি পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পরিস্থিতি এখন থমথমে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: অজানা আইডি থেকে মেল, সরকারি কম্পিউটার হ্যাক, মোদী-ডোভালের তথ্য লোপাট
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ‘বিশ্বকর্মা’ অ্যাখ্যা দিয়ে তোপের মুখে মোদী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy