গত শুক্রবার ঝাড়গ্রামে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। ফাইল চিত্র।
ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি। হামলার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় তদন্তের দায়িত্ব নিল সিআইডি। ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিন্হা বলেন, “কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার সিআইডি নিয়েছে।” কনভয়ে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজেশ মাহাতো-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে নীতীশ মাহাতো নামে আরও একজনকে আটক করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
গত শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির ‘রোড শো’ শেষ করে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কুড়মিদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় অল্পবিস্তর জখম হন আদিবাসী নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। যদিও এই হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ক্লিনচিট দিয়েছিলেন অভিষেক এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও এই হামলার ঘটনায় কুড়মি নেতা রাজেশ-সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ এদের মধ্যে আন্দোলনের দুই নেতা, ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গে’র সভাপতি রাজেশ মাহাতো এবং আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতোকেও গ্রেফতার করেছে।
গত কয়েক মাস ধরেই জনজাতি তালিকাভুক্ত করা থেকে শুরু করে কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি— নানা দাবিতে আন্দোলন করছে কুড়মি সামাজিক সংগঠনগুলি। জাতীয় সড়ক, রেল অবরোধের পাশাপাশি ‘ঘাঘর ঘেরা’ আন্দোলনকে একটি সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। নেতাদের ধরলেও আন্দোলন থেমে থাকবে না, এই বার্তা দিয়ে সারা ভারত কুড়মি সমন্বয় সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি অশোক মাহাতো বলেন, ‘‘সমাজের আন্দোলন ব্যক্তি নির্ভর নয়। বহু যুগের বঞ্চনা সয়ে কুড়মিরা শান্তিপূর্ণ ভাবে দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy