Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CID

রাজ্যে উঠে এল আরও ২ ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের কথা

শুক্রবার সিআইডির এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

CID

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৫
Share: Save:

রাজ্যে আরও দু’টি স্কুলে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। তার এক জন বাঁকুড়া জেলায় কর্মরত এবং অন্য জন পূর্ব মেদিনীপুরে।

শুক্রবার সিআইডির এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর নির্দেশ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিআই এফআইআর করবেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিআইডি তদন্ত শুরু করবে। প্রসঙ্গত, সোমা রায় নামে কর্মশিক্ষার শিক্ষিকা পদের এক চাকরিপ্রার্থীর মামলায় প্রথম মুর্শিদাবাদের গোঠা হাই স্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানা গিয়েছিল। তার তদন্তভার সিআইডিকে দেন বিচারপতি বসু। সেই মামলাতেই এ দিন বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ওই দু’জনের কথা জানা গিয়েছে।

মামলাকারী সোমা রায়ের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, বাঁকুড়ার অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম জেসমিন খাতুন। ২০১১ সালের স্কুল শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্যানেলের নিরিখে ২০১৯ সালে তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ তত দিনে ওই প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ, জেসমিনের স্বামী শেখ সিরাজুদ্দিন বাঁকুড়ার শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ এবং এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান। ফিরদৌস বলছেন, ‘‘এই প্রথম ২০১১ সালের প্যানেল নিয়েও মামলা হল। দেখা যাচ্ছে, এই সরকার যখন পেরেছে যেমন পেরেছে দুর্নীতি করেছে।’’ আদালতের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের করণচাঁদ হাই স্কুলে কর্মরত শুভেন্দু হাটুয়া নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের দাবি, ওই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ দিন হাই কোর্টের নির্দেশের পরে বাঁকুড়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পীযূষকান্তি বেরা বলেন, ‘‘রাজ্য শিক্ষা দফতর বা আদালতের তরফে কোনও নির্দেশ সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইনি। যেমন নির্দেশ আসবে সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করব।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভশিস মিত্রেরও বক্তব্য, ‘‘হাই কোর্টের নির্দেশের বিষয়টি এখনও জানা নেই।’’ বাঁকুড়ার ওই শিক্ষিকা বা তাঁর কলেজ অধ্যক্ষ স্বামীর সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, জেসমিন ইঁদপুরের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাই স্কুলে ২০১৯ সালে সংস্কৃতের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। এ দিন জেসমিন স্কুলেও আসেননি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বামাপদ সাহু বলেন, ‘‘কোর্ট কী রায় দিয়েছে আমার জানা নেই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

CID Teachers Fake
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy